খিচুড়ি খেয়ে দিন পার করছে জিহাদের পরিবার

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৪, ০৩:১৫ পিএম

ঘরে নেই একমুঠো চাল। রান্নাও হয়নি। মসজি🌼দ থেকে পাওয়া খিচুড়ি খেয়েই দিন পার করছেন ꦕপরিবারটিকে। 

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) চুয়াডাঙ্গার সদর হাসপাতাল থেকে ১২ বছর বয়সী জিহাদের একজন যাত্রী উঠে শহরের বড়বাজারে নিয়ে যেতে বলেন। আলমডাঙ্গা স্টেশন সংলগ্ন স্থানে পৌঁছুলে জিহাদকে পাশের দোকান থেকে একটি বস্তা নিয়ꦉে আসতে বলে ওই যাত্রী। ফিরে এসে জিহাদ দেখে তার ভ্যান নেই। 

ঋণের টাকায় কেনা একমাত্র উপার্জনের সম্বল ব্যাটারিচালিত ভ্যানটি হারিয়ে পরিবারটি দিশেꦰহারা হয়ে পড়েছেন। বাবা বৃদ্ধ তাহাজ্জেল হোসেন অ্যাজমা রোগী হওয়ায় জিহাদের উপার্জনেই চলত পরিবারটি। একদিন ভ্যান না চালালে তাদের খাবার জোটে না। ;

রিকশা চুরি হওয়া🍷🧔র পর বাড়িতে রান্নাবান্না হয়নি। 

জিহাদജের বাবা তাহাজ্জেল মিয়া বলেন, “ঘরে রান্নার জন্য কিছুই নেই। কোনো নগদ টাকাও নেই। শুক্রবার বাড়িতে কোনো রান্না হয়নি। জুমার নামাযের পর মসজিদ থেকে এক থালা খিচুড়ি দিয়েছিল। সেটা বাবা-ছেলে খেয়েছি। এখন রাতে কি খাব জানি না। এখন পর্যন্ত আমাদের কেউ কোনো খোঁজও নেয়নি।”

সদর উপজেলার নবগঠিত মဣাখালডাঙ্গা ইউনিয়নের দীননাথপুর গ্রামের পোস্ট অফিস পাড়ায় শিশু জিহাদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, মা হাফিজা খাতুন অসুস্থ হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী। দীর্ঘদিন যাবত তিনি কিডনি, ডায়াবেটিস, হার্টের রোগে ভুগছেন। 

তাহাজ্জেল মিয়ার বয়স হওয়ার কারণে আর🌜 ভ্যান চালাতে পারেন না। একটি এনজিও থেকে আট মাস আগে ৫০ হাজার টাকা ঋণ তুলে জিহাদকে ভ্যান কিনে দিয়েছিলেন। এরপর থেকেই ভ্যান চালিয়ে যা উপার্জন হতো তা দিয়ে টেনেটুনে চলত সংসার তাদের।

স্ত্রী দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ হওয়ায় কিছুই খেতে পারেন না। স্যালাইন পানি পান করেই জীবন কাটিয়ে দিচ্ছেন। তার চিকিৎসার জন্য 🧸ওষুধ লাগে। 

ঘরে এখন চাল কেনার𒅌ও টাকা নেই, বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন বৃদ্ধ তাহাজ্জেল।

তিনি বলেন, “আমার ছেলে স্থানীয় বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে। এরপর সে আর পড়েনি। এখন আমার এই ছেলেটাই সম্বল। সে আমাদের দেখাশোনা করে। যাত্রীবেশে ছেলের কাছ থেকে ভ্যান ন🐼িয়ে গেছে। এনজিও থেকে লোন তুলে ভ্যান কিনে দিয়েছিলাম। লোনের টাকা পরিশোধ করব কীভাবে।”