এক মাসে বিদ্যালয়ের ১৯ ছাত্রীর বাল্যবিয়ে

নাটোর প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৪, ০৯:৫০ পিএম

নাটোরের গুরুদাসপুরে চাঁচকৈড় শাহীদা কাশেম বালিক♕া বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের উপস্থিতি কমেছে আশঙ্কাজনক হারে। গত এক মাসে বিদ্যালয়ের অন্তত ১৯ ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে।

জানা যায়, বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হওয়া ছাত্রীদের বেশিরভাগই এখন সংসার-ধর্ম নিয়ে ব্যস্ত🐟। ছাত্রীদের বাল্যবিয়ের ফলཧে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষকরাও।

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, দেশজুড়ে চলা ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে খুব গোপনে সপ্তম থেকে দশম শ্রেণির অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছাত্রীদের বাল্যবিয়ে দিয়েছেন ಞতাদ🐈ের অভিভাবকরা। দেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় বাল্যবিয়ে রোধে শিক্ষকরাও তেমন কোনো ভূমিকা নিতে পারেননি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিগার সুলতানা বলেন,🌠 “বেশকিছুদিন বন্ধ থাকার পর দেশের পরিস্থিতি স্বাভাকি হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু বিদ্যালয়ে পাঠদান চালꦜু হলেও সপ্তম থেকে দশম শ্রেণির ১৯ জন মেধাবী ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত দেখা যায়। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় তাদের বাল্যবিয়ে হয়েছে। এদের মধ্যে ৭ম শ্রেণির ৪ জন, অষ্টম শ্রেণির ২ জন, নবম শ্রেণির ৬ জন, দশম শ্রেণির ৭ জন ছাত্রী রয়েছে।”

সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী রিতু খাতুন জানায়, বিদ্যালয় খোলার পর শ্রেণিকক্ষে সহপাঠী নিপা𓂃, সেতু, রোজিনা আক্তার, এলেনা খাতুন অনুপস্থিত রয়েছে। লেখাপড়ার প্রবল ইচ্ছা থাকলেও সহপাঠিদের বাল্যবিয়ের ফলে তারও বিদ্যালয়ে আসার আগ্রহ কমেছে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক জালাল উদ্দিন জানান, তার বিদ্যালয়ের যে ১৯ ছাত্রী বিয়ের পিঁড়িতে বসেছে, তাদের মধ্যে এসএসসি পরীক্ষার্থীও ছিল। সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে জাল জন্ম সনদ তৈরির মাধ্যমে একশ্রেণির বিবাহ 🅰রেজিস্ট্রার ও নোটারি পাবলিক এসব বিয়ে পড়িয়েছেন। তবে অভিভাবকদের দাবি, রাস্তা-ঘাটে বখাটেদের উৎপাতসহ নানা কারণে অপ্রাপ্ত বয়সেই তারা সন্তানদের বাল্যবিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।

স্থানীয়রা বলছেন, টাকা হলেই কম্পিউটার থেকে সহজেই জাল জন্মসনদ হাতে পাওয়া যায়। তাছাড়া অর্থলোভি কাজী🔯র যোগসাযোজ, শিক্ষকদের অনিহা, দুর্বল প্রশাসনিক ভূমিকার কারণেই বাল্যবিয়ে রোধ করা সম্ভব হয়ে উঠছে না।  

উপ💖জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেখামনি পারভিন বলেন, বাল্যবিয়ের খবর তাদের কেউ জানাননি। এ কারণে কোনো ব্যবস্থাও নিতে পারেননি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা আক্তার বলেন, “শাহিদা কাশেম বালিকা বিদ্যালয়ের ১৯ ছাত্রীর বাল্যবিয়ের বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমি বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছি। শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফেরানোর জন্য অভিভাবক সমাবেশস🦩হ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”