লালনের বাণী নিয়ে বন্যার্তদের পাশে

মাগুরা প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ২৯, ২০২৪, ০৩:৪৬ পিএম

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, ছোট্ট একটি চায়ের দোকানের চালার নিচে দাঁড়িয়ে গিটার বাজাচ্ছেন🗹 এক তরুণ। সঙ্গে আরও অꦇনেক তরুণ-তরুণী গলা মেলাচ্ছেন। সবাই গাইছেন, “সত্য কাজে কেউ নয় রাজি/ সবি দেখি তা না-না-না/ জাত গেল জাত গেল বলে...।”

গানের দ্বিতীয় লাইন থেকে তাদের সঙ্গে গ🦹লা মেলালেন একজন বয়স্ক ব্যক্তি। হাতে একটা পলিথিনের ব্যাগে কিছু সবজি। দুই হাত তুলে দোল খাওয়া শরীরে গলা মিলিয়ে এগিয়ে গেলেন দলটির দিকে। দলটি গেয়ে যাচ্ছে লালনের♛ গান।

ভিডিওতে যাদের দেখা যাচ্ছে, তাদের কেউ পড়েন মাগুরার বিভিন্ন স্কুল-কলেজে; আবার কেউ কেউ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। দলট🐻ি বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছিল।

‘পথে নামলে বোঝা যাচ্ছে আমরা ল൲ালনের মাটিতেই থাকি। বন্যার্ত মানুষের জন্য সহমর্মী মানুষের সাহায্য পৌঁছে দিতে আমরা গান গেয়ে হাঁটছি, আজ দꦏ্বিতীয় দিন। একজন অচেনা পথচারী আপন হয়ে উঠলেন।’

এমন একটি ক্যাপশনসহ এই ভিডিও পোস্ট করা হয় নাফিসা নাওয়ার নিঝুম নামের একজন শিক্ষার্থীর ফেসবুক আইডি থেকে। চার দিন আগে করা পোস্টটি ২৯ আগস্ট পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি শেয়া💎র হয়েছে।

নিঝুম ছাড়াও দলটিতে ছিলেন অতসী, অবন্তী, ঐশী, তনুশ্রী, নিতু, তন্বী, অরণ্য, অন্তর, অভ্র, অমর্ত্য, তূর্য, উৎসব, প্রিয়ম, সোহান, বাপ্পী, শুভ, শুভ্র, সৌরভ, প্রিন্স, পিয়াল, মৃদুল, তনয়া, শ্রেয়া, অর্পিতা, জয়, তুলি, অনু, প্রান্ত, কাব্য, প𒊎ার্থ, পুষ্প, সিঁথি, মাহাথির, নাবিল ও মুরসালিন। তাদের সঙ্গে ছিলেন শিক্ষক পার্থ প্রতীম বিশ্বাস।

নিঝুম মাগুরার স♏রকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী। খুব পরিকল্পনা করে নয়, বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহতা দেখে সারা দেশের মতো তারাও কয়েকজন মিলে বন্যার্তদের জন্য অর্থ সংগ্রহ শুরু করেন।

২০২২ সালের বন্যায় মাগুরায় যারা গান গেয়ে অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন, নিঝুমেরা তাদের সাহায্য নেন। সবাই মিলে এক হয়ে কা💃জ শুরু করেন।

নিঝুম জানান, জুন মাস থেকে দেশে চলমান পরিস্থিতি অবচেতনে প্রভাব ফেলেছিল তাদের মনে। সেই উত্তাল সময়ে লালনের গানই এসেছে তাদে𒊎র মাথায়। সে গান গাইতে কোনো রেওয়াজ দরকার হয়নি তাদের। 🃏স্বতঃস্ফূর্তভাবে সবাই মিলে গেয়ে উঠেছেন মানুষের জন্য।

তিন দিন দলটি অর্থ সংগ্রহ করে। এরপর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি মাগুরা ইউনিটের মাধ্যমে সেগুলো পাঠিয়⛦ে দেন দুর্গত এলাকার মানুষের জন্য।

লালনের গানের সহজ সুর আর নিঝুমদের স্বতঃস্ফূর্ত গায়কি আকৃষ্ট করেছে নেটিজেনদের। বন্যার ভয়াবহতার মধ্যেও সেই সুর ছুঁয়ে যায় মানুষের মন।