পাবনার সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ও আমিনপুর থানার (ওসি) রওশন আলমের সরকারি মোবাইল নম্বর ‘ক্লোন’ করে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউ🌜পি) নির্বাচনে প্রার্থীদের কাছ থেকে অর্থ দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (৩ নভেম্বর) দুপুর থেকে বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) সকাল পর্যন্ত উ📖✱পজেলার সব প্রার্থীকে ফোন করে এই অর্থ দাবি করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় আমᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚিনপুর ও সুজানগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (🍌জিডি) করা হয়েছে।
উপজেলার আমিনপুর থানার রানিনগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মন♐োনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী জি এম তৌফিকুল আলম পিযুষ বলেন, “আমি ফোন পেয়েছিলাম। একটি নম্বর থেকে আমার কাছে এক লাখ 💜টাকা চাওয়া হয়। তবে আমি টাকা না দিয়ে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করি।”
মানিকহাট ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী শফিউল ইসলাম খান বলেন, “ওসির নম্বর থেকে আমার কাছেও ফোন আসে। আমি ব্যস্ত থাকায় ফোন ধরতে পারেনি। পরে থানায় গিয়ে ওসিকে ফোন দেওয়ার কারণ জানতে চ🧔াইলে𓆉 নম্বরটি ক্লোন হওয়ার বিষয় জানাজানি হয়।”
সুজানগর থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ဣও🧔সি) মিজানুর রহমান জানান, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন ঘিরে কিছু দুষ্কৃতকারী তার সরকারি মুঠোফোনের নম্বর ক্লোন করে বুধবার সকাল থেকে উপজেলার সব চেয়ারম্যান প্রার্থীর কাছে অর্থ দাবি করছে। এমন ঘটনা কয়েকজন প্রার্থী থানায় এসে জানালে বিষয়টি জানতে পারেন। এ ব্যাপারে প্রার্থীদের সতর্ক থাকার জন্য জানানো হয়েছে।
আমিনপুর থানার ওসি রওশন আ🐎লম বলেন, “ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্🅘তাদের জানানো হয়েছে। দ্রুত চক্রটিকে শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব প্রার্থীর কাছ থেকে এভাবে আমাদের নম্বর ক্লোন করে টাকা চাওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক।”
পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান বলেন, “একটি অসাধু চক্র আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন সরকারি নম্বর ক্লোন করে প্রার্থীদের ফোন করে নির্বাচনে সুবিধা প্রদানের কথা বলে অবৈধভাবে বিকাশ বা নগদের মা🗹ধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সুজানগরের ওসির নম্বর ক্লোন করে এই ধরনের কল করা হয়েছে।”
মহিবুল ইসলাম খান আরও জানান, পাবনা জেলা পুলিশ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সংকল্পবদ্ধ। নির্ব𝓀াচন সংক্রান্তে কারও সঙ্গে কোনো প্রকার আর্থিক লেন๊দেন না করার জন্য এবং কেউ এ ধরনের প্রস্তাব দিলে ফোনটি কেটে দিয়ে ওই নম্বরে কলব্যাক করুন, তাহলে তার পরিচয় নিশ্চিত হতে পারবেন। এই ধরনের কল পেলে তাৎক্ষণিক পুলিশ সুপারকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হল। এ ধরনের কাজে জড়িত উভয় পক্ষকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
দ্বিতীয় ধাপে আগামী ১১ নভেম্বর সুজানগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদে ন🦩ির্বাচন অনুষ্ঠিত🧜 হবে।