ইউনূসের লেজ কাটতে গিয়ে হাসিনারটা কেটে গেছে : কাদের সিদ্দিকী

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২৪, ০৯:২১ পিএম

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, “দেশের অবস্থা মোটেই ভালো না। আমি অধ্যাপক ইউনূসকে খুবই পছন্দ করি। তার গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে যখন বিপদ হয়েছিল, আমি বারবার তার কাছে গিয়েছি, তাকে সাহস দিয়েছি। ♑শেখ হাসিনাকেও বলেছি, এ রকম একটা মানুষের লেজ কাটতে যেয়ে আপনি ভালো কাজ করছেন না। তাকে আপনি সহযোগিতা করেন, সারা পৃথিবীতে তাকে ঘোরার ব্যবস্থা করে দেন, এতে আপনার লাভ হবে। কিন্তু না, উনি তার লেজ কাটতে কাটতে এখন শেখ হাসিনার লেজই কাটা হয়ে গেছে। আমার কী করার আছে?”

সোমবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের সখীপুর পৌরসভার তা🙈লতলা চত্বরে উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের এক জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, “শেখ হাসি🍬না আর বঙ্গবন্ধু এক নয়, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের পিতা। সংসদ বাতিল হয়েছে, আজকে উপজেলা ও পৌরসভা বাতিল হয়েছে, বঙ্গবন্ধুকে বাতিল করবেন?💞 তার নাম পিতা; রাষ্ট্রপিতা, রাষ্ট্রপিতাকে বাতিল করতে গেলে সন্তানের কিন্তু জন্ম পরিচয় থাকবে না। এই জন্য একটু ভেবে চিন্তে যাবেন।“ 

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাদের উদ্দেশে বলেন, “যারা আন্দোলন করেছে, তারা পৃথিবীতে একটি ইতিহাস তৈরি করেছে। কিন্তু তারা যদি এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, আজকে হাসিনার দশা যা হয়েছে, তাদের দশাও এর চাইতে কিন্তু ভালো হবে না। আমি ছাত্র বন্ধুদের যে সরলতা-সততা দেখেছি, গত ৩০ বছরে এই চোরের শাসনে তা দেখা যায় নাই। প্রতিদিন গাড়ি খুললেই টাকার বস্তা♓ পাওয়া যায়, সব মন্ত্রীরা চোর, চুরি করার জন্য মানুষ তাদের নেতা বানায়নি।”

শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সমালোচনা করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, “ভাগনে জয়, বাবা তুমি যা বল, এখানে যে মানুষগুলো আছে তাদের কষ্ট হয়। তুমি সকালে এক রকম আর বিকেলে আরেক রকম কথা বলে মানুষগুলোর কষ্ট আর বাড়াইয়ো না। আদ🌟ব-কায়দা শেখো, বড় হও। আমেরিকায় বসে কথা বললেই তাকে বড় বলা হয় না।”

বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্ররা জয়ী হয়েছে বলে বিএনপি ক্ষমতায় বসে গেছেন-এ রকম ভাববেন না। জনগণ যদি সমর্থন না করে আজকে শেখ হাসিনার যে দশা ✨হয়েছে, আপনাদেরও সেই একই দশা হবে। দেশটা আওয়ামী লীগের না, বিএনপির না, জামায়াতের না, ১৪ দলের না, এটি ১৮ কোটি মানুষের দেশ। সেই ১৮ কোটি মানুষকে সম্মান করতে শেখেন। মানুষকে যারা সম্মান করে না, তাদের রাজনীতি করার অধিকার নাই।”

জনসভায় আরও বꦯক্তব্য রাখেন বাসাইল পৌরসভা মেয়র রাহাত হাসান টিপু, জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেক হিটলু, সখীপুর উপজেꦛলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন সজীবসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।