লুট করা অস্ত্র নিয়ে ভিডিও করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে টিকটকারের মৃত্যু

ফরিদপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৪, ০৮:৫৭ এএম
পলাশ হোসেন। ছবি : সংগৃহীত

ফরিদপুরের সদ🎃রপুরে ꧂থানা থেকে লুট করা অস্ত্র নিয়ে টিকটক ভিডিও করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে পলাশ হোসেন (১৮) নামের এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল ৬টার দিকে ঢাকা নিউরো সাইন্স হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসা♋ধীন অবস্থায় মারা যান পলাশ। এ꧃র আগে ৬ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হন তিনি।

পলাশ হোসেন সদরপুর উপজﷺেলার আটরশি গ্রামের মোশারফ হোসেনের বড় ছেলে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ আগস্ট সকালে পলাশ তার বাবার হোটেলে কাজ করছিলেন। এ সময় তার দুই বন্ধু তাকে হোটেল থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরে তারা আড়া✤ই রশি গ্রামে পলাশের নানা মোসলেম মাতুব্বর এর বাড়িতে গিয়ে ৫ আ🐓গস্ট সদরপুর থানা থেকে লুট করে নেওয়া একটি শর্টগান নিয়ে টিকটক ভিডিও নির্মাণ করতে থাকেন। এ সময় অসাবধানতাবশত শর্টগান থেকে গুলি বের হয়ে পলাশের মাথায় লাগে।

পলাশকে প্রথমে আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জꦆন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা নিউরো সায়ে♛ন্স হাসপাতালে নেওয়া হয়। ঢাকার নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে ৬দিন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার ভোরে মারা যান পলাশ।

অস্ত্রট🔥ি সদরপুরের আনসার বাহিনী এবং সেটি পরে ফরিদপুর সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ ঘটনার পর পলাশไে🌞র ওই দুই বন্ধু ও তাদের পরিবারের সদস্যরা আত্মগোপন করায় এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

নিহত পলাশের বাবা মোশারফ হোসেন বলেন, সদরপুর থানা থেকে লুট করা অস্ত্র দিয়ে তার ছেলেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। থানার কাজকর্ম শুরু না হওয়ায় এ ব্যাপ🤡ারে আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।

সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় পলাশের মা পারুলী আক্তার বাদী হয়ে পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি হত্যা মামলা দিয়েছেন। পলাশের মরদেহ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। সেটি ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ ꧋হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।