প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

জয়পুরহাট প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২৪, ০৮:২৩ পিএম

জয়পুরহাটের কালাই ময়েন উদ্দিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রꦫধান শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলাম বকুলের অপসারণের দাবিত🧸ে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা।

রোববার (১১ আগস্ট) দুপুরে কালাই ময়েন উদ্দিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষܫার্থী ও সুশীল সমাজে🦋র উদ্যোগে বাসস্ট্যান্ড চত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

স্থানীয়রা জানান, ১৯১৩ সালে কালাই পৌর সদর এলাকায় ময়েন উদ্দিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ দিন ধরে বিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদে𝓰র সুনামের সঙ্গে পাঠদান করে আসছে। যার ফলশ্রুতিতে বিদ্যালয়টি ২০১৮ সালে জাতীয়করণ করা হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বকুল ভুয়া সনদ দিয়ে শিক্ষকতা করছেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ। যার কারণে ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যালয়টি তার সুনাম হারাতে বসেছে।

কালাই ময়েন উদ্দিন সরকারি উচ্চ বিদ্🥂যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. মান্নান তালুকদার বলেন, “বর্তমান ভারপ্🐷রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের ব্যাচেলর অব অ্যাডুকেশন (বিএড) সনদটি জাল। আমরা দ্রুত এ শিক্ষককে অপসারণের দাবি জানাচ্ছি।”

প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মো. মুনসুর রহমান বলেন, “বর্তমান প্রধান শিক্ষক আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করেছেন। আমরা প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিতে চাই। কর্তৃপক্ষ যেন দ্রুত ভুয়া সনদধারী শিক্ষক♍কে অপসারণ করেন।”

নাম প্রকাশ করার না শর্তে স্কুলের একাধিক শ෴িক্ষার্থীরা বলেন, “আমাদের প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষককে নিয়ে এর আগেও বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হয়েছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আমরা এর সমাধান চাই। প্রতিষ্ঠানে কোনো💯 বিশৃঙ্খলা চাই না। আমরা সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে লেখাপড়া করতে চাই।“

অভিযোগ অস্বীকার করে কালাই ময়েন উদ্দিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বকুল বলেন, “জ༺য়পুরহাট চিফ জুডিশিয়ꦏাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় আমার সনদ বৈধ বলে ঘোষণা করেন ম্যাজিস্ট্রেট। অভিযোগ ওঠার পর বিভিন্ন দপ্তর থেকেও আমার বিএড সনদ একাধিকবার যাচাই করেছে। সবাই সঠিক পেয়েছে। আমার সকল কাগজপত্র সঠিক থাকায় যাচাই বাছাই করে আমার চাকরিও জাতীয়করণ করা হয়েছে।”