কক্সবাজারে ২ শতাধিক গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দী ৩ লাখ মানুষ

কক্সবাজার প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২৪, ০৯:৩৪ পিএম

চার দিনের টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে কক্সবাজারে দুই শতাধিক গ্🌸রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে অন্তত ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এসব এলাকার আঞ্চলিক ও গ্রামীণ সড়ক পানিতে ডুবে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) রামু উপজেলায় পানিতে ভেসে গিয়ে ইসফাম (৮) নামে এক শিশুর মৃত্💃যু হয়েছে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামু 🃏থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান। 

নিহত ইসফাম ওই ইউনিয়নের সমিতি পাড়া এলাকার ইমাম হোসেনের 𒆙ছেলে।

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের চেইন্দা এলাকা হাঁটু🌟 পানিতে ডুবে গেছে। এতে করে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া চকরিয়া-মানিকপুর সড়ক, রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়ক, চিরিঙ্গা-বদরখালী সড়কসহ জেলার বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক ও গ্রামীণ সড়কে বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলার উখিয়া, টেকনাফ, চকরিয়া, পেকুয়া, রামু,🎃 সদর, ঈদগাঁও, কুতুবদিয়া ও মহেশখালী উপজেলার দুই শতাধিক গ্রাম বন্যা কবলিত হয়েছে। মাতামুহুরি ও বাঁকখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঘর-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় বন্যা কবলিত এলাকায় রান্নাবান্না করতে পারছে না। অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে চলে গেছে।

চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী আজকের পত্রিকাকে বলেন, “পাহাড়ি ঢলের তোড়ে মাতামুহুরি নদীর ১০-১২টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে▨ গেছে। ভাঙন দিয়ে লোকালয়ে ঢলের পানি ঢুকে প্লাবিত হচ্ছে। এতে নদীর দুইপাড়ে পাঁচ ই💞উনিয়নে পাহাড়ি ঢলের পানি ঢুকে কয়েক হাজার বাড়ি ঘর প্লাবিত হয়েছে।”

এ ছাড়া বাঁকখালী নদীর তীরবর্তী রামু ও সদর উপজেলার ১০ ইউনিয়নের ৭০ হাজার বাসিন্দা পানিবন্দী হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী বলেন, “ভারী বৃষ্টিতে কক্সবাজার শহরের সমিতি পাড়া, কুতুবদিয়া পাড়া, ꦜনাজিরারটেক, নুনিয়ারছড়াসহ কয়েকটি এলাকা ডুবে গেছে।”

এদিকে বৈরী আবহা𝕴ওয়ার কারণে কয়েক দিন ধরে সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। এতে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষেও জেলেরা মাছ ধরতে সাগরে নামতে না পেরে কর্🌜মহীন হয়ে পড়েছে। কক্সবাজারে আগামী শনিবার পর্যন্ত অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ সময় পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক 🦄মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, “পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিতে জেলার বেশ কিছু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রয়োজনীয় ত্রাণ ও অর্থ সাহায্য দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।”