কোস্টগার্ডের সঙ্গে সংঘর্ষ, ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কক্সবাজার প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২৪, ০৮:২০ এএম

টেকনাফের সেন্টমার্টিনে ট্রলার ডুবির ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোস্টগার্ডের সঙ্গে স্থানী๊য়দের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় ২৯ জনের নাম উল্লেখ এবং ৩০০-৩৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আস🍎ামি করা হয়েছে।

রোববার (২৮জুলাই) রাত ১০༒টার দিকে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রা🐭প্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনি মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে শনিবার (২৭ জুলাই) টেকনাফ মডেল থানায় কোস্টগার্ডদ꧃ের সেন্টমার্টিন স্টেশন কমান্ডার লে. কর্নেল অনিক মাহমু🥂দ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

ওসি ওসমান গনি বলেন, সেন্টমার্টিনে কোস্টগার্ড ও স্থানীয়দের সঙ্গে𝄹 সংঘর্꧒ষের ঘটনায় শনিবার একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। মামলায় ২৯ জনকে এজাহার নামীয় আসামি এবং ৩০০-৩৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। মামলার তদন্ত ভার দেওয়া হয়েছে সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল বাতেনকে। তিনি পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবেন।

মামলার এজ🐼াহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ জুলাই সেন্টমার্টিনের ট্রলার ডুবির ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোস্ট গার্ড ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় কোস্ট গার্ডের স্টেশন কমান্ডারসহ ৫ জন আহত হন। বেশকিছু সরকারি মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েꦕছে।

এ ঘটনায় ৯ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ পাড়ার ফয়সালকে ১ নং আসামি করে সেন্টমার্টিন ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল্লাহকে ২নং আসামি এবং সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমানকে ৩নং আসাম🍃ি করে ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৩০০🏅/৩৫০ জনকে অজ্ঞাত রেখে মামলা করে কোস্টগার্ড।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, “গত বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে টেকনাফ থেকে নিত্যপণ্য ও যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপ যাওয়ার𝓀 পথে বঙ্গোপসাগরের গোলারচর মোহনায় এফবি সাদ্দাম নামে ফিশিং ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১৬ জন উদ্ধার হয়। পানিতে হারিয়ে যান নুর মোহাম্মদ সৈকত নামে এক কলেজছাত্র। তাকে উদ্ধার অভিযানে গিয়ে নিখোঁজ হন মো. ফাহাদ ও মো. ঈসমাইল। তাদের ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এটি নিয়ে দ্বীপবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় কোস্টগার্ড♛ বাদী হয়ে দ্বীপের বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।”

সেন্টমার্টিন সার্ভিস বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “ট্রলার ডুবির পর কোস্টগার্ডকে অবহিত করা হলেও তারা উদ্ধার তৎপরতায় সাগরে নামেনি🐲। দ্বীপবাসী সার্ভিস বোট ও ফিশিং ট্রলারে উদ্ধারে যায়। এ সময় ১৬ জনকে উদ্ধার করে ঘাটে ফিরলে কোস্টগার্ড সদস্যরা ফটোসেশন করতে যান। এতে দ্বীপবাসীর সঙ্গে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এসময় ফাঁকা গুলি চালায় কোস্টগার্ড। এ ঘটনায় হানিফ নামে একজন গুলিবিদ্ধসহ ৫ জন আহত হন। শুনলাম এই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।”