৪১৪ বছরের পুরনো দিঘিকে ‘পর্যটনকেন্দ্র’ করার দাবি

জয়পুরহাট প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০২৪, ০২:৫৬ পিএম

১৬১০ খ্রিস্টাব্দে ♈প্রজাকূলের চাষ ও পানি কষ্ট লাঘবের জন্য লাখো শ্রমিকের মাধ্যমে এক রাতে খনন করা হয়েছিল দিঘি। এক কিলোমিটার দৈঘ্যের প্রায় ৬🍒০ একর আয়তনের এ দিঘি রাজা নন্দনালের নির্দেশে খনন করা হয়। সেই থেকে এ দিঘি নন্দলালের নামে ‘নান্দাইল দিঘি’ নামে পরিচিতি লাভ করে।

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার পুনট ইউনিয়নে অবস্থিত ৪১৪ বছরের ঐতিহাসিক এ দিঘি  প্রাকৃতಞিক সৌন্দর্যের এক অনন্য লীলাভূমি। দিঘির নির্মাণ ও কারুকাজ মুগ্ধ করে ইতিহাসপ্রেমীদের। নান্দাইল দিঘির স্বচ্ছ জলরাশি, সবুজ ছায়াঘেরা পরিবেশ ও শীতকালে অতিথি পাಌখির আগমনে এটি হয়ে ওঠে এক প্রাণবন্ত স্থান।

স্থানীয়রা জানান, এ দিঘির সৌন্দর্য দেখে বড় হয়েছে। তাদের পূর্বপুরুষদের স্মৃতি জড়িয়ে আছে এ দিঘির সঙ্গে। কিন্তু প্রায় ৩০ বছর হꦉয়ে ♏গেল এ দিঘি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেছে।

প্রতিবছর ঈদ উৎসবে হাজারো পর্যটক ভিড় জমালেও পর্যাপ্ত অবকাঠামোর অভাবে তারা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। লোকবলের অভাবে দিঘির পারের মূল্যবান গাছগাছালি লোপাট হচ্ছে, নির্বিচারে গড়ে উঠছে বসতবাড়ি। যা দিঘির প্রা⛄কৃতিক সৌন্দর্যক🐼ে হুমকির মুখে ফেলেছে।

আমজাদ হ🌠োসেন নামের এক বয়স্ক ব্যক্তি বলেন, “আমাদের এলাকা আরো সুন্দর হবে। পর্যটকরা আসবেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা চাকরি পাবে। কিন্তু এত দিনেও কিছুই হয়নি। আমাদের সন্তানরা যেন🅘 এই স্বপ্নটা দেখতে পারে, এই আমার অনুরোধ।”

স্থানীয় ব্যবসায়ী জহির হোসেন বলেন, “নান্দাইল দিঘি এলাকায় পর্যটনকেন্দ্র হলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অনেক লাভবান হবেন। নত🐻ুন নতুন ব্যবসার সুযোগ তৈরি হবে। আমাদের জীবন উন্নত হবে। সরকারের প্রতি আমাদের বিনীত অনুরোধ, পর্যটন🐈কেন্দ্র যেন দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয়।”

নান্দাইল দিঘি কলেজের অধ্যক্ষ সামছুল আলম বলেন, “আমি একজন শিক্ষক হিসেবে চাই, আমাদের এলাকা সুন্দর ও উন্নত হোক। পর্যটনকেন্দ্র 🌜হলে আমাদের শিক্ষার মানোন্নয়নের পাশাপাশি আরো অনেক কিছু শেখার সুযোগ হবে। আমরা চাই, নান্দাইল দিঘি শুধু আমাদের না, সারা দেশের মানুষের কাছে পরিচিত হোক।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল হায়াত বলেন, নান্দাইল দিঘির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পর্যটন সম্ভাবন🦂া বিপুল কিন্তু এর যথাযথ ব্যবহার না হওয়ায় তা অব🍌হেলিত রয়ে গেছে। পর্যটনকেন্দ্রের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারলে এ এলাকা আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন বলেন, “নান্দাইল দিঘি এলাকায় পর্যটনকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা অনেক পুরনো। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করতে আমরা বদ্ধপর❀িকর। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতার কারণে আজও পর্যটনকেন্দ্র নির্মিত হয়নি। আমাদের হুইপের ঐকান🐲্তিক প্রচেষ্টা এবং সরকারের সহায়তায় দ্রুতই পর্যটনকেন্দ্র স্থাপন হবে।”

এটি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন জানান, নান্দাইল দিঘিতে পর্যটনকেকেন্দ্র স্থাপনের দাবি দীর্ঘদিনের। পর্যটনকেন্দ্র স্থাপনের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে যাচ্ছেন তিনি। যাতে স্থানীয় যুবসমাজ কর্মসংস্থানের সুযোগ পায় এবং অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়।