মাদ্রাসাছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগ, শিক্ষককে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২৪, ০৮:২৮ এএম

ময়মনসিংহের নান্দাইলে মাদ্রাসাছাত্রকে♏ ধর্ষণের অভিযোগে এক শিক্ষককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে উত্তেজিত জনতা।

বৃহস্পতি🔜বার (৪ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের বেলালাবাদ দত্তপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম খলিলুল্লাহ্ (২৭)। মাদরাসাতুল মাদীনা ক্যাডেট মাদ্রাসায় মুহতামিম তিনি।ꦬ একই ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের মো. লাল মিয়ার ছেলে তিনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে কামালপুর গ্রামের লাল মিয়ার বড় ছেলে মাওলানা কেফায়েত উল্লাহ্ ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের পাশে বেলালাবাদ দত্তপুর গ্র🦩ামে মাদরাসাতুল মাদীনা ক্যাডেট মাদ্রাসা স্থাপন করেন। সেখানে তার ছোট ভাই মাওলানা খলিলুল্লাহ্ মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।

ওই শিক্ষক মাদ্রা🐟সার নূরানী শাখার এক ছাত্রকে তিনবার ধর্ষণ করেন। বৃহস্পতিবার বিষয়টি ছাত্রের বাবা ꩵজানতে পেরে মাদ্রাসায় উপস্থিত ছাত্রদের কাছে জিজ্ঞেস করে সত্যতা পান। পরে মুহতামিম খলিলুল্লাহ্কে জিজ্ঞেস করলে প্রথমে বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও তোপের মুখে স্বীকার করে। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা খলিলুল্লাহ্কে গণপিটুনি দিয়ে একটি দোকানে আটকে রাখেন।

নান্দাইল মডেল থানার পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে খলিলুল্লাহ্কে থানা নিয়ে যায়। এরপর পরেই মাদ্রাসার ছাত্ররা মাদ্রাসা থেকে 🃏যার যার বাড়িতে 🍬চলে যায়।

নূরানী শাখার এক ছাত্রের অভিভাবক মো. আসাদুল্লাহ্ বলেন, “মাদ্রাসার হুজুরে এমনꦜ ঘটনা করবে তা কখনো চিন্তা করি নাই। খুবই ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। ছেলেকে নিয়ে ꧃যাচ্ছি। এ ছাড়া তো কিছু করার নেই।”

ওই মাদ্রাসা ছাত্রের বাবা বলেন, “ছেলেটিকে হাফেজ বানাব বলে মাদ্রাসায় দিছি। ছেলে কান্নাকাটি করে বলছে হুজুর আমার সঙ্গে তিন দিন খারাপ কাজ করছে। আমি মাদ্রাসায় গিয়ে ছাত্রদের জিজ্ঞেস করলে সবাই বলছে হুজুর খারꦗাপ কাজ করে। এর সঠিক বি🉐চার চাই।”

মাদরাসাতুল মাদীনা ক্যাডেট মাদ্রাসা পরিচালক মাওলানা কেফায়েত উল্লাহ্ মোবাইল ফোনে বলেন, “আমি তো মাদ্রাসায় থাকি না। আজকে মাদ্রাসায় আসলে ছাত্রের বাবা এসে ঘটনা বলতেছে। উত্তেজিত লোকজন ভাইকে মারধর করছে। এখন তো ঘটনা সত্য না হলেও ꦜতো স⛎ত্য।”

নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মজিদ বলেন, “মাদ্রাসা ছাত্রকে ধর্🌳ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি।”