ভোলায় ৫ দিনে ১২ রাসেলস ভাইপার উদ্ধার

ভোলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২৪, ০৪:৩৬ পিএম

ভোলায় পাঁ🌄চ দিনে 🔥বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২টি রাসেলস ভাইপার সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে এলাকাবাসী ১১টি সাপ মেরে ফেলেছে। আর একটি সাপ বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছে এলাকাবাসী।

জেলার সদর, দৌলতখান, বোরহান🍌উদ্দিন, তজুমদ্দিন, চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলাসহ চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় বাসাবাড়ি ও খেলার মাঠে একের পর এক রাসেলস ভাইপার সাপের দেখা মিলছে। সাপটি দেখার সঙ্গে সঙ্গেই এলাকাবাসী 🅠মেরে ফেলছে। একের পর এক  এই সাপ উদ্ধারে জনসাধারণের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার শিবপুরের ‍‍`গরিবের ডুবাই নামে খ্যাত‍‍` চায়না ইপিজেড বালুর মাঠে একটি, তজুমউদ্দিন উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের একটি বসত বাড়ির সামনে ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার টব♛গী ইউনিয়নের জসিম হাওলাদারের বাড়িতে একটি রাসেলস ভাইপার পাওয়া যায়।

এছাড়াও বুধবার (১৯ জুন) বিকেলে জেল🉐ার তজুমউদ্দিন উপজেলার চৌমুহনী এলাকায় খেলার মাঠ, গত মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকালে সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশায় ইউনিয়নে পাকার মাথা এলাকায় বসত বাড়ির পাশের জালের সঙ্গে পে♛ঁচানো অবস্থায় একটি রাসেলস ভাইপার উদ্ধার করা হয়। 

মঙ্গলবার রাতে দৌলতখান উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নে𝔍র জালু মাঝির বসতঘর, রোববার (১৬ জুন) লালমোহন উপজেলার লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের সꦉৈয়দাবাদ এলাকায় একটি বাড়ির শৌচাগার, বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরা ও সাগর উপকূল উপজেলা চরফ্যাশনের বিভিন্ন ইউনিয়নে আরও ৫টি রাসেলস ভাইপার সাপ দেখা যায়। পরে স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে সাপগুলোকে পিটিয়ে মেরে ফেলে।

এর মধ্যে তজুমউদ্দিন উপজেলায় পাওয়া একটি সাপ বন൲বিভাগের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে জেলাজুড়ে সর্বসাধারণের মাঝে রাসেলস ভাইপার আতঙ্ক ব♉িরাজ করছে ।

স্থানীয়রা জানায়, বেশ কয়েকদিন ধরে জেলার সর্বত্র সাপের উপদ্রব দেখা দিয়েছে। কিন্তু এর আগে সাগর উপকূল উপজেলা চরফ্যাশনের কুকরি-মুকড়ি, ঢালচর কিဣংবা মনপুরা উপজেলায় দেখা মিললেও এবার সদর উপজেলাসহ প্রায় সবস্থানেই সাপের বিচরণ বেড়েছে। একের পর এক বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপের দেখা মিলছে বিভিন্ন এলাকায়।

স্থানীয় জেলে জয়নাল মাঝি বলেন, “নদীতে মাছ শিকার করে ঘাটের দিকে যাওয়ার সময় বালুর মধ্যে এই সাপটি দেখ൩তে পাই। পরে আরও লোকজন এসে সাপটিকে রাসেলস ভাইপার বলে নাম দেয়। এই সাপ এর আগে আর কখনো দেখিনি। সাপটি দেখতেও অনেক ভয়ানক। অন্য সাপের থেকে দেখতে আলাদা। সাপটি দেখে স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে মেরে ফেলে।”

জালু মাঝি জানায়, তার বসতঘর🧸ে খাটের নিচে তিনটি বিড়াল ♉মৃত অবস্থায় দেখতে পান। পরে ঘরের লোকজন খোঁজা-খুঁজির এক পর্যায়ে বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপারকে ঘর থেকে বের হতে দেখেন। তখন সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে সাপটিকে খুঁজে পিটিয়ে মেরে ফেলে উপস্থিত লোকজন।

সোওনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিশু বলেন, “আমার ইউনিয়নে আগে এই বিষধর সাপের দেখা পাইনি। পরপর দুই দিন এই সাপের সন্ধান মেলায় আমার ইউনিয়নবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। আমি ও বনবিভাগের লোকজন আসার আগেই সাপটি স্থানীয়রা মেরে ফেলে।”

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, “রাসেল ভাইপার সাপ লোকালয়ে সাধারণত খুব কমই দেখা যায়। ꦓবাচ্চা দেয়ার কারণে হয়তো ওই সাপটি লোকালয়ে চলে এসেছে। তবে সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।”

জেলার সিভিল সার্জন চিকিৎসক এ কে এম শফিকুজ্জামান, “চন্দ্রবোড়া বা উলুবোড়া বা রাসেলস ভাইপার সাপ সবচেয়ে বিষাক্ত🍨 ও এর অসহিষ্ণু ব🌌্যবহার ও লম্বা বহির্গামী বিষদাঁতের জন্য অনেক বেশি লোক দংশিত হোন। বিষক্রিয়ায় রক্ত জমাট বেঁধে যায়। ফলে অত্যধিক রক্তক্ষরণে দীর্ঘ যন্ত্রণার পর মৃত্যু হয়।”