ঈদের ছুটি কাটাতে ভারত যেতে বেনাপোলে যাত্রীদের ভিড়

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২৪, ০৫:৩৩ পিএম

দরজায় কড়া নাড়ছে মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় সর্ব বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। তাই পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে গ্রামের বাড়িতে ছুটেছেন লাখ লাখ মানুষ। এদিকে ♐ঈদের ছুটি কাটাতে ভারত যাচ্ছেন অনেক বাংলাদেশি। অনেকে আবার ভারত থেকে ফিরছেন বাংলাদেশ♈ে।

হঠাৎ করে বেনাপোল ইমিগ্রেশ🏅নে চাপ বেড়ে যাওয়ায় ভোগান্ত꧙িতে পড়ছেন অনেক যাত্রী। বিগত বছরগুলোর মতো এবারও চেকপোস্টে কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে হতাশা আর অসন্তোষ জানিয়েছেন যাত্রীরা। অভিযোগ রয়েছে দালালদের হয়রানির নিয়েও। বর্তমানে বেনাপোলে দুই পাশের ইমিগ্রেশনের কাজ সারতে যাত্রীপ্রতি প্রায় ৫-৬ ঘণ্টা সময় লেগে যাচ্ছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশও করছেন কেউ কেউ।

বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, সেবার মান বাড়াতে সার্বিকভাবে তারা কাজ করছেন। যাত্রীদের হয়র🦄ানি এড়াতে যাত্রীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন তথ্য সূত্রে জানা যায়, ১২ জুন থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত চার দিনে মোট ৩০ হাজার ৪৮০ জন পাসপোর্টধারী দুদেশের মধ্যে যাতায়াত করে🦹ছেন। এর মধ্যে ভারতে প্রবেশ করেছেন ২০ হাজার ১৩৭ জন। আর ভারত থেকে ফিরেছেন ১০ হাজার ৩৪৩ জন।

যাত্রীরা বলেন, ভ📖ারত ভ্রমণে বাংলাদেশ সরকার নিচ্ছে ১০৫৫ টাকা ভ্রমণ কর। আর ভিসা ফি বাবদ ভারতীয় দূতাবাসগুলো নিচ্ছে ৮৫০ টাকা। ভিসার চেয়ে ভ্রমণ কর বাড়লেও স🔜েবা বাড়েনি যাতায়াতে।

আরও কয়েকজন যাত্রীরা বলেন, ভ্রমণ কর বাড়লেও সেবা নেই। ৫-৬ ঘণ্টা লাগছে ইমিগ্রেশন সারতꦐে। রয়েছে দালালদের হয়রানি। নিরাপত্তাকর্মীদের চোখের সামনে এসব ঘটছে।

গোলাম মোস্তফা নামের এক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, “বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম শেষ করতে মাত্র কয়েক মিনিট লাগলেও পেট্রাপোল নোম্যান্সল্যান্ডে রৌদ্রের মধ্যে দুই ঘণ্টার ওপরে দাঁড়িয়ে আছি। পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে কখন ঢুকবো বল🍌তে পারছি না।”

এ বিষয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, “গত চার দিনে ৩০ হাজার ৪৮০ জন যাত্রী দুদেশের মধ্যে আসা-যাওয়া করেছেন। স্বাভাবিক সময়ে এ🔜 সংখ্যা গড়ে প্রতিদিন সাড়ে ৪ꦅ হাজারের মধ্যে থাকে। তবে এবার রেকর্ড সংখ্যক যাত্রী যাতায়াত করেছেন। যাদের অধিকাংশই ঈদ উপলক্ষে দীর্ঘ ছুটির কারণে ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য ভারতে যাচ্ছেন।“

তবে দেরি হওয়ার বিষয়টি তিনি বিজিবির তল্লাশি ও কাগজপত্রের জটিলতার কারণ বলে জಌানিয়েছেন।