টিকটক ও শর্ট ফিল্ময়ের মডেল বানানোর নামে তরুণীকে পৈশাচিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে তাকে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায় করা চক্রের মূলহোতা নূরিতাকে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের মূলহোতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত নূরিতা (২৩) বগুড়া জেলার রাঙ্গামাটি গ্রামের আলমগীরের ফকিরের মেয়ে। তবে অপর আসামি মারু༒ফকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি💫।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় সহকারী পুলিশ সুপার (কের𝄹ানীগঞ্জ সার্কেল) শাহাবুদ্দিন কবির এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শাহাবুদ্দিন কবির জানান, ভিকটিমকে নূরিতা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শর্ট ফিল্মে অভিনয় করার কথা বলে ডেকে এনে💎 সহযোগী মারুফসহ কয়েকজনকে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন করে। পরে মুক্তিপণ দাবি করে তারা। এ সময় ভিকটিম আত্মীয়-স্বজনের কাছে ফোন করে মুক্তিপণের জন্য ৮ হাজার 🔜টাকা বিকাশের মাধ্যমে এনে দেয়। এদিকে চক্রটি মেয়েটির মোবাইল ফোন এবং ব্যবহৃত স্বর্ণালঙ্কার কেড়ে নিয়ে কালো কাপড় বেঁধে রাতের অন্ধকারে বসুন্ধরা রিভারভিউ এলাকায় ঝোঁপের মধ্যে ফেলে যায়।
পরদিন সকালে ভিকটিম নিজে থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে অভিযোগ আমলে নিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) খালেদুর রহমান তদন্ত শুরু করে। এদিন সন্ধ্যায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ🌳 থানাধীন হাসনাবাদে অভিযান পরিচালনা করে এই চক্রের মূল হোতা নূরিতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ সময় পুলিশেꦓর অভিযান টের পেয়ে তার সহযোগী মারুফ কৌশলে পালিয়ে যায়। মারুফ ও তার কয়েকজন সহযোগীকে গ্রেপ্তারে পুলিশের ত🍬ৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ ঘটনায় ভিকটিম আসামি নূরিতার নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে অপহরণ, মানবপাচার এবং পর্ণো♚গ্রাফি আইনে ♈দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
এদিকে আসামির বিরুদ্ধে ঢাকার আশুলিয়া থানাসহ⭕ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।