দায়িত্বে অবহেলার কারণে ডুবেছিল রজনীগন্ধা ফেরি, ১১ কর্মী বরখাস্ত

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ১৪, ২০২৪, ০৫:০৯ পিএম

মানিকগঞ্জের পাটুর🌌িয়ায় পদ্মানদীতে ৯টি যানবাহন নিয়ে রজনীগন্ধা নামের ফেরিটি ডুবে যাওয়া ঘটনায় তদন্ত শেষে কর্তব্যরতদের গাফিলতি ও চরম দায়িত্বহীনতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর প্রেক্ষিতে ওই ফেরির ১১ জন কর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপ𒈔মহাব্যবস্থাপক শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ। সেই সঙ্গে কর্মীদের বরখাস্তের আদে🐻শের কপিতে দুর্ঘটনার কারণও উল্লেখ করা হয়েছে।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মীরা হলেন ফেরির সেকেন্ড মাস্টার মো. আঞ্জুমান, ইনল্যান্ড মꦗাস্টার অফিসার মেহের আলী, লস্কর মো. মুরাদ, মানিক রায়, আরিফুর রহমান, মনির আহমেদ, গ্রিজার মামুন সিকদার, এনায়েত হোসেন, মাছুম শিকদার ও হুইল সুকানি সবুজ মিয়া। এ ছাড়াও শোকজ করা হয়েছে এজিএম (মেরিন) মো. আহম্মেদ আলীসহ চারজনকে।

বরখাস্তের আদেশে উল্লেখ করা হয়, তদন্ত কমিটি সার্বিক বিষয়টি তদন্ত করে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে 🌜ইনচার্জ মাস্টারের বিধি লঙ্ঘন এবং অন্যান্য কর্তব্যরত স্টাফদের চরম গাফিলতি ও দায়িত্বহীনতার কারণে ফেরিটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে মর্মে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে। এমন আচরণ ও কার্যকলাপ চাকরি নিয়ম-শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই কর্মচারী চাকরি প্রবিধান মালা-১৯৮৯ এর ৪৬ (১) ধারা মোতাবেক তাদের চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। বিধি মোতাবেক তারা খোরাকি ভাতা প্রাপ্য হবেন। যথা সময়ে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হবে।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসির উপমহাব্যবস্থাপক শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ বলেন, “বিআইডব্লিউটিসির ওয়েবসাইট থেকে রজনীগন্ধা ফেরির স্টাফদের বরখাস্তের কপি সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদের গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বরখাস্ত করা হয়েছিল। ৩ মার্চ বরখাস্তের আদেশ বিআইডব্লিউটিসির ওয়েবসাইটে প🤪্রকাশ করা হয়। রজনীগন্ধা ফেরির বাবুর্চি ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ দুর্ঘটনায় সময় ছিলেন না; এমন চারজন ছাড়া বাকিরা শাস্তির আওতায় এসেছেন।”

তিনি আরও বলেন, “ভবিষ্যতে যাতে এমন দুর্ঘটনা আর না ঘটে; সে জন্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশে অনেকগুলো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এখন ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়ার আগেই প্রতিটি ফেরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। যাত্রী ও পরিবহন ধারণক্ষমতা ফেরির সামনে ল൲িখে রাখা হয়েছে। বেশ কয়েকটি তদারকি কমিটি গঠন করা হয়ে🐟ছে।”

উল্লেখ্য, চলতি বছরের গত ১৭ জানুয়ারি পাটুরিয়া ৫ নম্বর ঘাটের কাছে পদ্মা নদীতে ৯টি যানবাহন নিয়ে ডুবে যায় রজনীগন্ধা ফেরি। এতে প্রাণ হারান ফেরির দ্বিতীয় ইঞ্জিনচালক হুমায়ুন কবীর। আট দিনের মাথায় ফেরিটি উদ্ধা🧸র করে জাহাজ ‘প্রত্যয়’। উদ্ধারের পর ফেরিটিকে মেরামতের জন্য নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় বিআইডব্লিউটিসি ও মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসন দুটি তদন্ত꧂ কমিটি গঠন করেছিল। কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তারা।