‘৩৫ লাখ টন খাদ্য সংরক্ষণে কাজ করছে সরকার’

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২১, ০৫:৩৫ পিএম

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বল🉐েছেন, ‍“প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে দেশে সফলভাবে করোনা মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে। দেশে খাদ্য সংকট হয়নি, খাদ্যের অভাবে কেউ না খেয়ে মারা যায়নি। এমন কোন সেক্টর নাই যেখানে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। অথচ বিএনপি দেশরত্ন শেখ হাসিনার উন্নয়ন দেখতে পায়না। অথচ শেখ হাসিনার উন্নয়নের সুফলভোগী দেশের সকলেই।”

মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) মানিকগঞ্জের শিবালয় পরিষদ হলরুমে নিরাপদ খাদ্য সংরক্ষণের জন্য হাউজহোল্ড সাইলো বিতরণ অ💧নুষ্ঠানে খাদ্য☂মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী𝓰 বলেন, “খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে আগামী ছয় মাসের মধ্যে স্মার্ট কার্ড প্রবর্তন করা হবে। এটি বাস্তবায়ন হলে খাদ্য সহায়তা বিতরণে আরো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। সরকার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২০০ পেডি সাইলো নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। আধুনিক এ সাইলোগুলো হবে ৫ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন। কৃষকের ভেজা ধান সংগ্রহ করে এখানে প্রক্রিয়াকরণ হবে। এতে কৃষকের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত হবে।”

সম্প্রতি একনেকে ৩০ টি সাইলো নির্মাণের অনুমতি পাওয়া গেছে। ২০৩০ সালের মধ্যেꦓ খাদ্য শস্য সংরক্ষণ সক্ষমতা ৩৫ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হবে বলে জানান মন্ত্রী

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ꦑপ্রতি ইঙ্গিত করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “যে দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না জনতার আদালতে তাদের বিচার হওয়া উচিত। গণতন্ত্র হত্যাকারীদের নির্বাচন থেকে জনগণই তাদেরকে বয়কট করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কখনও নির্বাচন থেকে পালিয়ে যায়নি, ভবিষ্যতেও যাবে না।”

মানিকগঞ্জের জেলাꦡ প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সংসদ সদস্য এএম নাঈমুর রহমান দুর্জয়, মমতাজ বেগম, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ মুজিব✱র রহমান, অতিরিক্ত সচিব মো: খুরশিদ ইকবাল রেজভী, পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান প্রমূখ।

এ সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ প্রকল্পের আওতায় দেশের ৫৫টি উপজেলায় সর্বমোট ৩ লাখ পারিবারিক সাইলো বিতরণ করা হবে। মানিকগঞ্জ জেলার তিনটি উপজেলায় মোট ১৩ হাজার পারিবারিক সাইলো পর্যায়ক্রমﷺে বিতরণ করা হবে। এর মধ্যে শিবালয়ে ৫ হাজার, দৌলতপুরে ৪ হাজার এবং হরিরামপুরে ৪ হাজার পিস পারিবারিক সাইলো বিতরণ করা হবে। 

দূর্যোগকালে প্রতিটি পারিবারিক সাইলাতে ৪০ কেজি ধান অথবা ৫৬ কেজি চাল অথবা ৭০ লিটার পানি সংরক্ষণ করা যাবে।