শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বড় কান্দি ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচন চলছে। নির্বাচনে জাল ভোট দিতে এসে এক প্রবাসী আটক হয়েছেন। শনিবার (৯ মার্চ) বেলা পৌনে ১১টার দিকে বড় কান্দি ইউনিয়নের মনাই ছꦰৈয়াল কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দꦬ্রে এ ঘটনা ঘটে।
জাল ভোট দিতে এসে আটক হওয়া অনন্ত শিকদার (২২) মনাই ছৈয়াল কান্দি গ্রামের আক্তার হোসেন শিকদার🐭ের ছেলে। তিনি মালেশিয়া প্রবাসী ছিলেন।
কেন্দ্রটির প্রিজাইডি অফিসার সূত্রে জা꧙না যায়, অনন্ত শিকদার নামে এক মালেয়শিয়া প্রবাসী শনিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে ইউনিয়নটির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্র মনাই ছৈয়াল কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাল ভোট দিতে আসেন। ভোট দিয়ে আসার সময় তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়। এরপর তাকে নির্বাচনে দায়িত্বরত ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হয়।
জানতে চাওয়া হলে অনন্ত শিকদার সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “আমাকে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার জামাল শেখ একটি♉ স্লিপ দিয়ে বলেছেন ভোট দিয়ে আসো। আমি ওই স্লিপ নিয়ে ভোট দিতে আসার পর আমাকে আটক করা হয়েছ⭕ে৷ আমি আর কিছু জানি না।”
বিষয়টি নিয়ে বড় কান্দি ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার জামাল শেখ বলেন, “আমি অনন্তকে চিনি না। তাকে আমি কোনো স্লিপ দিয়ে ভো♔ট দিতে 🍸পাঠাইনি। এ বিষয়ে লেখালেখি করার দরকার নেই “
কেন্দ্রটির প্রিজাইডিং অফিসার মুক্তি রানী দে মন্ডল সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “জাল ভোট দিতে আসা ওই ব্যক্তিকে আ𝓰ইনশৃংখলা বাহিনী নিয়ে গেছে। এর বেশি কিছু আমি বলতে পারব🤪 না।”
নির্বাচনে দায়িরত ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও নড়িয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. পারভেজ সংবাদ ♋প্রকাশকে বলেন, জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে একজনকে আমরা আটক করে নিয়ে এসেছি। এখনও তার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর বড়কান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফি উদ্দিন খলিফা মারা যান। তার মৃত্যু চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। এতে ১৫ হাজার♕ ২৯০ জন ভোটারের বিপরীতে মোট প্রার্থী ৭ জন।🤪 প্রার্থীরা হলেন চশমা প্রতীক নিয়ে এম এ ওয়াহাব মাদবর, ঘোড়া প্রতীক নিয়ে লুৎফর রহমান, মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে আলী আশ্রফ মাল, টেবিল ফ্যান প্রতীক নিয়ে মোফারদ সিদ্দিকী, অটোরিকশা প্রতীক নিয়ে মতিউর রহমান শিকদার, টেলিফোন প্রতীক নিয়ে কামরুল হাসান, আনারস প্রতীক নিয়ে হাচিনা বেগম।