খুলনা-মোংলা রেল লাইনের ঠিকরাবাঁধ ও দারোগার ভিটা ক্রসিংয়ে ওভারপাস কিংবা আন্ডারপাস নির্মাণে কোনো পরিকল্পনা বর্তমান প্রকল্পে নেই। তবে জনগণ চাইলে এবং স💖ংকট তৈরি হলে সেখানে ওভারপাস কিংবা আন্ডারপাস তৈরি করা যাবে।
শুক্রবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ꦗসচিব সেলিম রেজা এ কথা বলেছেন।
খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক এবং খুলনা-বটিয়াঘাটা-পাইকগাছা আঞ্চলিক সড়কের ওপর অবস্থিত এই দুটি ক্রসিংয়ে রেল চলাচল শুরু হলে যানজট সৃষ্টির পাশাপাশি দুর্ঘটඣনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার ঠিকরাবাঁধ এলাকায় স্থানীয় অন্তত এক হাজার মানুষের অংশগ্রহণে রেল ক্রসিংয়ে ওভারপাস নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত✤ হয়েছে।
এ বিষয়ে খুলনা সফররত রেলপথ সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সেলিম রেজা বলেন, মাত্র তিন বছর আগে খুলনার আধুনিক রেলস্টেশন নির্মাণ কাজ শেষ হয়। তখন ৬০/৭০ কোটি টাকা ব্যয় হলেও আমি বলব প্ল্যানিংয়ে ভুল ছিল। যে 𝐆কারণে এখন আবার নতুন করে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে প্লাটফর্ম উচু করতে হচ্ছে। বয়স্ক মানুষ ও শিশুরা এই প্লাটফর্ম ব্যবহার করে বগিতে উঠতে ভোগান্তির শিকার হন।
প্লাটফর্ম পরিদর্শনের সময় স্টেশনে পৌঁছানো একটি ট্রেনের বগির জরাজীর্ণ দশায় ও হতশ্রী চেহারায় হতাশা প্রকাশ করে রেল🐈 সচিব বলেন, মানুষের আগ্রহ বাড়লেও 🍷এমন কোচে তারা ভ্রমণ করবে কেন? মানুষের আগ্রহ বাড়াতে কোচ মেরামতে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে।
সরকার রেলওয়েকে জনবান্ধব করতে মহাপরিকল্পনা নিয়েছে। রেল ভ্রমণে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। তাই আমাদেরও দায়িত্ব ও কর্তব্য সচেতন হতে হবে। প্রতি বছর রেল স্টেশন আধুনিকায়নে ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ🐽্ছে। এই অর্থ বছরে ৫৫টি স্টেশনের আধুনিকায়ন সম্ভব হবে। এভাবে ৪/৫ বছরের মধ্যে দেশের সব স্টেশন আধুনিকায়ন হয়ে যাবে।
স্বচ্ছতার সঙ্গে রেলে নতুন করে জনবল নিয়োগ হবে জানিয়ে তিনি বলেন, রেলে কর্মরতদের পোষ্যদের জন্য ৪০ ভাগ কোটা নির্ধারিত থাকবে। এ বছর ১০০০ কিলোমিটার রেলপথের সংস্কার করা হবে। বিবর্ণ চেহারার রেলকে স্মার্ট করতে হবে।