বৈঠা হাতে রাস্তায় তিন শতাধিক মাঝি

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১, ০৮:৪৪ পিএম

বাড়তি টাকা আদায়ের প্রতিবাদে নৌকার বৈঠা হাতে নিয়ে মানববন্ধন করেছে কর্ণফুলী🤡 নদীর মাঝি কল্যাণ স﷽মিতি ফেডারেশন।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে চট্ꦚটগ্রাম প্রেস কꦺ্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “আড়াইহাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সাম্পান কর্ণফুলী থেকে চিরতরে বিলুপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। গত পাঁচ দিন ধরে 𓃲নিজেদের ন্যায্য দাবিতে ইছানগর-বাংলাবাজার ঘাটে ধর্মঘট করছেন তিন শতাধিক সম্পান মাঝি। মাঝিদের ন্যায্য দাবির তোয়াক্কা না করে কর্ণফুলী ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন ভূ-সম্পদ কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন। যে কারণে মাঝিরা বৈঠা হাতে নিয়ে ঘাট ছেড়ে রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছে।”

এ সময় তারা আরও বলেন, “পাটনিজীবি নীতিমালা-২০০৩ ও উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী একজন সাম্পান মাঝি ঘাটে থাকলেও তাকে ঘ♑াঁট ইজারা দিতে হবে। কিন্তু সিটি কর্পোরেশন মাঝিদের ঘাট ইজারা না দিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তির মাধ্যমে গত পাঁচ মাস ধরে দুই টাকার পরিবর্তে পাঁচ টাকা  টোল আদায় ও চাঁদাবাজি করে আসছে।” 

এদিকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কারণে যাত্রীরা কর্ণফুলী উপজেলা ইউএনওর কাছে অভিযোগ করলে গত ১২ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ভূমি) এসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কারীদের পরিবর্তে গরিব ঘাটের মাঝীদের ৫০০০ টাকা জরিমানা করে এবং এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামীতে অভিযান চালিয়ে জরিমানা ও জেল প্রদান করা হবে বলে নির্𒊎দেশ প্রদান করে। যে কারণে মাঝিরা নিরুপায় হয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ঘাট বন্ধ করে লাগাতার ধর্মঘট শুরু করে।  ধর্মঘট চলাকালে মাঝিরা চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকত🥂া ও ভূ-সম্পদ কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা ঘাটে সাম্পানের পরিবর্তে ইঞ্জিন চালিত বোট চলবে জানিয়ে মাঝিদের ঘাট ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

মানববন্ধন সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কর্ণফুলী গবেষক প্রফেসর ড. ইদ্রিস আলী, সাংবাদিক আলীউর রহমান, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন সভাপতি এস এম পেয়ার আলী, সিন𒀰িয়র সহ-সভাপতি জা⛎ফর আহমেদ, সহ-সভাপতি লোকমান দয়াল, সদস্য মোহাম্মদ ইউসুফ, মোহাম্মদ জসীম প্রমুখ।