যশোরের শার্শা উপজেলার গোগা ইউনিয়নের ইছাপুর গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে আঙ্গুর চাষের কথা জানা যায়। ইউটিউবে রহস্য ট্রাভেল নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে এমন একটি ভিডিও দেখার পর সরেজমিনে পরিদর্শনে যায় সংবাদ প্রকাশের সংবাদকর্মী। &🧸nbsp;
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ইছাপুর গ্রামের মহসিন আলী নামে (৩৫) এক চাষি তার ১৩ শতাংশ জমির ওপর এই দৃষ্টিনন্দন আঙ্গুর বাগান গড়ে তুলেছেন। এতে প্রায় গাছের ব্যাপক ফলন দেখা যায়। কিন্তু স্বাদের দিকে কিছু আঙ্গুর প্রচণ্ড টক, আবার কিছু সুস্বাদু মিষ্টিও। যার ফলে মহসিন আলী মিষ্টি ও সুস্বাদু আঙ্গুর চাষ করে প্রমাণ করলেন এই মাটিতে মিষ্টি ও সুস্বাদু🐻 আঙ্গুর উৎপাদন সম্ভব।
মহসিন আলী সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “ইউটিউবে এক বছর আগে দেখেছিলাম বাংলাদেশের মাটিতে মিষ্টি সুস্বাদু আঙ্গুর চাষ হচ্ছে। এরপর থেকে আমার আগ্রহ হয়। গত বছরের শেষের দিকে জমি পরিচর্যা ও প্রস্তুতি গ্রহণ করি ও ১৩ শতাংশ জমির ওপর আঙ্গুর চাষ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করি। এরপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে চারা সংগ্রহ করে রোপণ ও পরিচর্যা শুরু করি। পরিচর্যায় শুধু পানি ও জৈব সার ব্যবহার করেছি। চারা রোপনের মাত্র তি🌄ন মাসেই গাছে ফুল আসে এবং আট মাসের মধ্যেই প্রতিটি গাছে আঙ্গুর চলে আসে।”
তিনি আরও বলেন, “এই আঙ্গুর বাজারজাত করার মতো পরিপক্ব হলে অব্যশই মিষ্টি ও সুস্বাদু হবে। এসব গাছ থেকে𝄹 বিপুল পরিমাণের চারা গাছ তৈরি করে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন ও সরবরাহের পরিকল্পনা চলছে। স্থানীয়ভাবে আঙ্গুর চাষ হলে ফরমালিন মুক্ত ও কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি ছাড়া মানসম্মত ফল পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।”
স্থানীয়রা বাণিজ্যিকভাবে এই আঙ্গুর চাষ করলে এটি 𝓰একটি জনপ্রিয় ফল চাষ হবে। সেই সঙ্গে আঙ্গুর চাষ লাভজনক বাণিজ্যে রূপ ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখবে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ মন্ডল সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে আঙ্গুর চাষের তথ্য জানা নেই। এ বিষয়ে ꦯখোঁজ নেওয়া হবে। ইতোপূর্বে যারা চাষ করেছেন, সেগুলোতে গাছের জাতের প্রকার ভেদ ছিল।”