মেঘের রাজ্য নামে খ্যাত রাঙ্গামাটির সাজেক পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। এ কারণে সারা বছর সাজেকে থাকে পর্যটকের চাপ। এবার টানা ছুটিতে সেই চাপ বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। দুর্গাপূজা, সাপ্ꦗতাহিক ছুটি ও ঈদে মিলাদুন্নবীসহ টানা ছুটিতে পর্যটকমুখর হয়ে উঠেছে সাজেক ভ্যালি। তবে পাহাড়ের রূপ উপভোগ করতে গিয়ে এবারের টানা ছুটিতে সেখানে পর্যটকের চাপে দেখা দিয়েছে আবাসন সংকট। ফলে বাধ্য হয়েই অনেক পর্যটককে রাত কাটাতে হচ্ছে খোলা আকাশে, বিভিন্ন বাড়িতে, গাড়িতে কিংবা মসজিদে।
হোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি সুবর্ণ দেববর্মণ বলেন, “যারা পরিকল্পনা ছাড়া সাজেকে এসেছেন তারাই বিপাকে পড়েছেন। আমাদের কটেজ আছে ১১২টি। রিসোর্টগুলোতে প্রায় ৪ হাজার পর্যটক থাকতে পারে। কিন্তু সাজেকে শুক্রবার (৭ সেপ্টেম্বর) তিন শতাধিক গাড়ি প্রবেশ করেছে। হিসাব মতে ২০০ গাড়ি এলে প্রায়🌠 ৪ হাজার পর্যটক হয়ে যায়।”
সুবর্ণ দেববর্মণ আরও বলেন, “আমরা অনেকে রাতে থাকার জন্য আশপাশে বাসা বাড়িতে ব্যবস্থা করে দিয়েছি। রুম বুকিং ছাড়া কেউ যেন সাজেক বেড়াতে না আস♏🎀েন। এতে পর্যটকদের বিপাকে পড়তে হয়।”
বেলাল হোসেন নামে সাজেকে বেড়༺াতে আসা൲ এক পর্যটক বলেন, “আমি বৃহস্পতিবার এসেছি। অনেক আগে থেকে রুম বুকিং দিয়েছিলাম। এর আগেও অনেকবার এসেছি, কিন্তু কখনই এবারের এত মানুষ দেখিনি। টানা ছুটিতে এমন চাপ। তবে এবার রিসোর্ট ভাড়া ও খাবারের দামও কিছুটা বেশি মনে হয়েছে।”
বিপাকে পড়া পর্যটক পিকু দাশ বলেন, “আমরা ১২ জন বন্ধু মিলে হঠাৎ প্ল্যান করে সাজেকে এসেছি। কিন্তু কোনো রিসোর্টে রুম পাইনি। বাধ্য হয়ে গাড়িতেই রাত কাটাতে হচ্ছে। তবে আক্ষেপ নে👍ই, মনোরম পরিবেশে আড্ডা দিয়ে কাটিয়ে দেব।”
꧒বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার বলেন, “রুম সংকটের বিষয়টি শুনেছি। তবে যারা আগে রুম বুকিং করে সাজেক গিয়েছে তাদের কোন সমস্যা হচ্ছে না। তাই পর্যটকদেরও জেনে শুনে আসা উচিত। তাহলে এই সমস্যায় পড়তে হবে না তাই পর্যটকদের এ বিষয়ে আরও সর্তক হওয়ার অনুরোধ করছি।”