আজ থেকে শুরু হচ্ছে ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২২, ০৬:৫৩ পিএম

ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) থেকে শুরু হচ্ছে♛। বৈরী আবহাওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই এ নিষেধাজ্ঞায় হতাশা নেমে এসেছে জেলে পল্লীতে। জেলেদের দাবি প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ঘাটে নোঙর করে থাকতে হয়েছে। এর মধ্যেই আবার আসছে নিষেধাজ্ঞা। যার কারণে বিপর্যস্ত জেলে পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। এদিকে নিষেধাজ্ঞার সময়ে সংসারের ব্যয়ভার বহন ও ঋণ পরিশোধ নিয়ে দুশ্চিন্তায় সাগর উপকূলের হাজার হাজার জেলে।

রাঙ্গাবালী উপজেলার সগির মাঝি (৫৩) জানান, খারাপ আবহাওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও শুরু হচ্ছে ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা। ইলিশের প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে নদী ও সমুদ্রে সব ধরণের মাছ শিকারের ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা ‌কার্যকর থাকবে। ২৩ জুলাই ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর হতে গত দুই মাসের সিংহভাগ সময়ই বৈরী আবহাওয়া ছিল। সমুদ্র উত্তাল থাকায় দুই মাসে দুই-তিন সপ্ত꧃াহ মাছ শিকার করতে পারেনি। এরমধ্যেই আবার শুরু হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এতে বেকার সময় কাটাতে হবে সাগর উপকূলের জেলꦇেদের। তাই সংসারের ব্যয়ভার বহন ও দাদনের ঋণ পরিশোধ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তা পড়েছেন তারা।

সগির মাঝি আরও জানান, নিষেধাজ্ঞার সময়ে সরকারের দেওয়া খাদ্য সহায়তা দিয়ে সংসার꧃ চালানো সম্ভব নয়। মৎস্য ব্যবসায়ী জুয়েল মীর (৪৫) জানান নিষেধাজ্ঞার সময়ে বাংলাদেশি জেলেরা মাছ ধরা থেকে বিরত থাকলেও ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের জল সীমায় প্রবেশ করে মাছ শিকার করে। তাই দুদেশের সমন্বয়ে নিষেধাজ্ঞার সময়কাল নির্ধারণের দাবি তাদের।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম জানান, নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে বেকার জেলেদের খাদ্য সহায়তা হিসেবে ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে নিষেধাজ্ঞার সময়ে যাতে কেউ মাছ শিকার করতে না পারে সে জন্য প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে জেলায় নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা প্রায় ৭৯ হাজার। এর বাইরেও লক্ষাধিক জেলে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন বলে জানান তিনি।