মামুনুলের ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য দিলেন ২ পুলিশ কর্মকর্তা

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২২, ০৫:০৬ পিএম

হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের নামে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় করা ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্যღ দিয়েছেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা।

সোমবার (৩ অক্টোবর ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন✃ দমন ট্রাইব꧂্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে এই সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

সা🏅ক্ষ্য গ্রহণ শেষে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মামুনুল হককে কারাগারে পাঠানো ♒হয়।

এর আগে, কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মামুনুল হককে কাশিমপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়। যে দুজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে, তারা হলেন সোনারগাঁ থানার উপপরিদর্🧔শক কোবায়ের হোসেন ও বোরহান।

জানা যায়, গত বছরের ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ে রয়্যাল রিসোর্টে একটি কক্ষে কথিত স্ত্রীসহ মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় হেফাজতে ইসলামের কর্মী ও মাদ্রাসার ছাত্ররা রিসোর্টে হামলা চালিয়ে তাদের ছিনিয়ে নেন। ওই ঘটনার ১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে মোহাম্মদ🧔পুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে ঢাকা মহানগর তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

ঘটনার ২৭ দিন পর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় হাজির হয়ে তার কথিত স্ত্রী বাদী হয়ে মামুনুল হক🙈ের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। একই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর ধর্ষণের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। একই বছরের ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের নামে অভিযোগ গঠন করেন আদালত🧜।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রকিব উদ𓆉্দিন আহমেদ বলেন, “মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ঘটনার প্রত্যক✨্ষদর্শী আরও দুইজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামুনুল হকের আইনজীবী এখন পর্যন্ত বিয়ের বিষয়টি প্রমাণ করতে পারেননি। এ নিয়ে মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৪৩ সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।”

আসামিপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক নয়ন বলেন, “সাক্ষীরা আদালতে যে সাক্ষ্য দিয়েছেন তার♑ মিল পাওয়া যায়নি।”