শারদীয় দুর্গাপূজার মহা অষ্টমী আজ। ষষ্ঠী থেকে দশমী, এই পাঁচ দিনের দেবী বন্দনার সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং জাঁকজমকপূর্ণ দিন আজ। শারদীয় দুর্গোৎসবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিথি মহা অষ্♔টমী। মহা অষ্টমীর মূল আকর্ষণ কুমারী পূজা। শিল্প, ঐতিহ্য, ইতিহাস ও সংস্কৃতির শহর কুমিল্লায় এবারও অনুষ্ঠিত হচ্ছে না কুমারী পূজা।
পঞ্জিকার ꧟তিথি অনুযায়ী আজ সোমবার (৩ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটের পূর্বে শ্রীশ্রী শারদীয় দুর্গাদেবীর মহাষ্টম্যাদি, কল্পরাম্ভ, কেবল মহাষ্টমী কল্পারম্ভ ও মহাষ্টমী বিহিত 𓂃পূজা প্রশস্ত। ১০৮টি পদ্মে প্রতিটি পূজা মণ্ডপে মায়ের অর্চনা করবে সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়।
এ তিথিতে সন্ধি পূজা, কালীপূজাসহ নারী জাতিকে সম্মান জানিয়ে মায়ের সাকার উপাসনার জন্য কুমারী পূজা করা হয়। বিকাল ৪টা ৫ মিনিট থেকে বিকাল ৪টা ৫৩﷽ মিনিটের মধ্যে সন্ধি পূজা। ২০১১ সাল থেকে কুমিল্লার রামকৃষ্ণ মিশনে অনুষ্ঠিত হওয়া কুমারী পূজা তৃতীয়বারের মত⛄ো এবারও বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে রোববার দুর্গতিনাশিনী মা দেবীর নবপত্রিকা প্রবেশ ও স্থাপনের মাধ্যমে মহাসপ্তমী পূজা শুরু হয়। সকালে ত্রিনয়নী দেবী দুর্গার চক্ষুদান করা হয়। মা দুর্গার বোধনের মধ্য দিয়ে শনিবার শুরু হ☂য় বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। সারা দেশের মতো কুমিল্লা পূজামণ্ডপগুলোতে ঢাকঢোলে ধ্বনিত হচ্ছে বাঙালির হৃদয়তন্ত😼্রীর বাঁধভাঙা আনন্দের জোয়ার।
হিন্দু শাস্ত্রানুসারে, সব স্ত্রীলোক ভগবতীর (মা দুর্গা) এক একটি রূপ। ঈশ্বরকে মাতৃভাবে আরাধনাই 𒐪হলো দুর্গাপূজা। মানুষ প্রতিমায় দুর্গাপূজাই হলো কুমারী পূজা। সব নারীর মধ্যেই মহামায়া দুর্গা বিরাজমান। এ তত্ত্ব উপলব্ধি থেকেই 🌠দুর্গোৎসবের অংশ হিসেবে কুমারী পূজা করা হয়।
জানা যায়, ১৯০১ সালে হাওড়ায় রামকৃষ্ণ মঠ꧑ ও মিশ🗹ন প্রতিষ্ঠার পর থেকেই মঠে কুমারী পূজা হয়ে আসছে। আর এ পূজা ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনে শুরু হয় ১৯১৪ সালে এবং কুমিল্লার রামকৃষ্ণ মিশনে শুরু হয় ২০১১ সালে। ২০১৯ সালের করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর ২০২২ সাল থেকে পরপর তিন বছর কুমারী পূজা বন্ধ রাখা হয়েছে কুমিল্লা রামকৃষ্ণ মিশনে।
কুমিল্লা রামকৃষ্ণ মিশন পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক শান্তি রঞ্জন ভৌমিক বলেন, “কুমিল্লার রামকৃষ্ণ আশ্রমে ৫০-এর দশকে তিন বছর কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ভারতের বেলুড় মঠ ২০০৭ সালে কুমিল্লা রামকৃষ্ণ মিশন অধিগ্রহণ করায় ২০১১ সালে প্রথম কুমারী পূজা শুরু হয়। আর প্রতিটি কুমারী পূজায় কুমিল্লায় ব্যাপক জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবছরই প্রায় ১৫-২০ হাজার ভক্তের সমাগম হয়। কোভিড-১৯-এর পর জনসমাগম ঠেকাতে কুমিল্লা রামকৃষ্ণ মিশনে কুমারী পূজা বন্ধ রাখা হয়। এ বছরও মূলত দুটি কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রথমত, এখনো শেষ হয়নি করোনার প্রাদুর্ভাব। দ্বিতীয়ত, মিশনের মন্দিরের নির্মাণকাজ চলার কারণে জায়গা সংকুলান না হওয়া। মা কৃপা করলে আগামী বছর থেকে আবারও কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হবে।”