‘রোহিঙ্গাদের পাঠাতে সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে’

কক্সবাজার প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২২, ০৯:৫৪ পিএম

দেশের স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামোকে বিশ্বমানে উন্নীত করতে সরকার এবং আন্তর্জাতিক অ🐓ভি🐭বাসন সংস্থা (আইওএম) একসঙ্গে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য সরকার কূটনৈতিক প্রচে꧅ষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কক্সবাজারে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করায় স🌳্থানীয় জনগোষ্ঠী নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাদের কারণে ক্যাম্প ও আশপাশে বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।”

রোববার (২ অক্টোবর) সকালে কক্সবাজারের টেকনাফে আইওএম নির্মাণাধীন ১২টি ক্লিনিক উদ্বোধনকালে তিনিཧ এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “সরকারের নানা পদক্ষেপগুলোর একটি হচ্ছে কক্সবাজারে উদ্বোধন করা নবনির্মিত কমিউনিটি ক্লিনিক। কক্সবাজারসহ দেশের অন্যান্য স্থানে সরকারের এই𒆙 প্রচেষ্টায় আইওএম অংশগ্༒রহণ করেছে।”

তিনি আরও বলেন, “১০ লাখের কাছাকাছি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়া দেশের সর্বদক্ষিণের এই অংশে মৌলিক অবকাঠামো এবং পরিষেবাগুলো আগে থেকেই জাতীয় গড়ের তুলনায় কম ছিল। এখানকার স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের মধ্যে অনেকগুলোই প্রায় দুই দশক আগে নির্মিত। বন্যা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অবকাঠামোগত ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ক্লিনিকগুলোর পুরোনো ভবন ভেঙে আইওএম নতুন দুই তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করেছে। নবনির্মিত এই ভবনগুলো আগের চেয়ে আরও বড় ও পরিবেশগতভাবে টেকসই। এগুলোতে রয়েছে সৌ𝓡রচালিত বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, নিরাপদ পানি সরবরাহ এবং উন্নত স্যানিটেশন সুবিধা।”

কক্সবাজারে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে 🍌বাংলাদেশ সরকার এবং বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে যৌথ প্রচেষ্টায় ১০০টি🐲 কমিউনিটি ক্লিনিক ভবন নতুনভাবে নির্মাণ করছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।

সংস্থাটির বাংলাদেশ মিশনের প্রধান আব্দুস সাত্তার ♛এসওয়েভ বলেন, “শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর নানামুখী চাহিদা পূরণে তাৎক্ষণিক এবং দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্ౠজ মোকাবিলায় মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা ও উন্নয়ন সংস্থাগুলোর মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্বের প্রয়োজন। মানবিক-উন্নয়ন সম্পর্কের ফলাফল যে দীর্ঘস্থায়ী হয়, তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বাংলাদেশ সরকার, বিশ্বব্যাংক ও আইওএমের এই যৌথ প্রচেষ্টা।”

বাংলাদেশ ও ভুটানের জন্য বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ডান্ডান চেন বলেন, “আমরা মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছি। বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও মর্যাদাপূর্ণভাবে তাদের দেশে প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রয়োজন মেটাতে বিশ্বব্যাংক কাজ করছে। এজন্য আইওএমসহ অন্যান্য সংস্থাগুলোকেও বরাদ্দ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক।”