করোলার ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা

হাসান সিকদার, টাঙ্গাইল প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২২, ০৫:১৯ পিএম

টাঙ্গাই꧅লে ꦚপুষ্টিকর সবজি করোলার চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। জেলার পাহাড়ি এলাকায় প্রায় সারা বছরই করোলার আবাদ হয়। চাহিদা বেশি থাকায় এবার ভাল দামও পাচ্ছেন কৃষকরা। তবে পোকার আক্রমণে ফলনে সমস্যা হচ্ছে। এসব করোলা চলে যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষ করা গেলে করোলা চাষে ব্যাপক লাভবান হবেন বলে মনে করছেন কৃষকরা।

টাঙ্গাইলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমᩚᩚᩚᩚᩚᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ𒀱ᩚᩚᩚে জেলায় প্রায় সাড়ে ৩০০ হেক্টর জমিতে করোলার আবাদ হয়েছে। এ থেকে প্রায় ৪ হাজার মেট্রিকটন করোলা উৎপাদন হয়েছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় করোলার আবাদ হলেও পাহাড়ি এলাকা ঘাটাইল, সখিপুর ও মধুপুর অঞ্চলে করোলার আবাদ বেশি এবং বাণিজ্যিক ভিত্তিতে হয়। প্রতি কেজি করোলা পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে। প্রচণ্ড গরমের কারণে করোলার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার লাভও বেশি পাচ্ছেন কৃষকরা।

স্থানীয় চাহিদা মিটিয়𒊎ে এসব এলাকার করোলা বিক্রির উদ্দেশ্যে চলে যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। পাইকাররা ক্ষেত থেকেই করোলা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন🅰।

চাষি সাদেক আলী বলেন, ‘অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার করোলা আবাদ ভালো হয়েছে। এ বছর ক𓆏রোলার দামও অনেক বেশি। আমি ১০ শতাংশ জমিতে করোলা আবাদ করেছি। গত বছরের তুলনায় এ বছর ১০ হাজার টাকা বেশি লাভ পেয়🎐েছি।”

আরেক চাষি কাদের মিয়া বলেন, “🌠এবার আবহাওয়া ভালো থাকার কারণে ক্ষেতে প্রচুর পরিমাণ করোলা ধরছে। করোলায় বিভিন্ন পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। যদি পোকার আক্রমণ থেকে বাঁচা যায়, তাহলে আমরা আরও বেশি লাভবান হতে পারব।”  

আব্দুল হাকিম বলেন, “আমি কৃষি অফিসের পরামর্শে এবার করোলা▨ চাষ করেছি। প্রথম অবস্থাতেই আমার ক্ষেতে অনেক করোলা এসেছে। দামও ভালো পাচ্ছি।”  

টাঙ্গাইলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আহসানুল বাসার বলেন, “এ বছর করোলার দাম বেশি থাকায় কৃষকরা করোলা চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন। তিতা জাতীয় ফসল আমাদের দেহের রক্তের জন্য খুবই উপকারী। এজন্য আমরা কৃষি অফিসাররা কৃষকদের পাশে থে൩কে উদ্বদ্ধ করছি যাতে করোলা আবাদ বৃদ্ধি পায়। করোলা আবাদে পোকার আক্রমণ বেশি হয়। পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে কৃষকদের পাশে থেকে সব সময় কাজ করে যাচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।”