প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার আসামিদের স্মরণ সভায় আ. লীগ নেতা

পাবনা প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০২১, ০৫:০০ পিএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা মামলায় ফাঁসি, যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাবন্দি আসﷺামিদের স্মরণে বৃক্ষরোপন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রয়াত ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর জামাতা আবুল কালাম আজাদ মিন্টু।

ঘটনাটি খুবই নিন্দনীয় ও ন্যাক্কারজনক দাবি করে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে তদন্তের দাবি 𒅌জানিয়েছেন জেলার নেতারা। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনার ছবি ও তথ্য ভাইরাল হয়ে পড়ায় ঈশ্বরদীতে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র সমালোচনাসহ দলীয় নেতা-কর্ম𓄧ীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) ব⭕িকেলে পূর্ব টেংরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বৃক্ষরোপন কর্মসূচির আয়োজন করেন ঈশ্বরদী পৌরসভা নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতিকের মেয়র পদে নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম নয়ন।  

আনুষ্ঠান🌃িকভাবে বৃক্ষরোপন করেন ঈশ্বরদী পৌর আও𒉰য়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু।

♏শুক্রবার (২০ আগস্ট) সকালে বিএনপি নেতা সরোয়ারুজামান মনা বিশ্বাসের ফেসবুক পেজে সেই ছবি ও তথ্য প্রকাশ হওয়ার পরপরই শুরু হয় আলোচনা সমালোচনার ঝড়।

বৃক্ষরোপন কর্মসূচিতে আবুল কালাম আজাদ মিন্টু, পৌর নির্বাচনে বিএনপির পরাজিত মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম নয়ন ছাড়াও বিএনপি নেতা সরোয়ারুজামান মনা বিশ্বাস, পূর্ব টেংরি বালিকা উচ🌠্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও দাশুড়িয়া ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি জমসেদ আলীসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা 🥀যায়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রধান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালে ২৩ সেপ্টেম্বর বিরোধী দলীয় নেত্রী থাকাকালিন সময়ে ট্রেনে দক্ষিণাঞ্চল থেকে উত্তরাঞ্চলে যাচ্ছিলেন। পথে ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশনে থামলে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ওই ট্রেন লক্ষ্য করে গুলি ও পাথর এবং বোমা নিক্ষেপ করা হয়🌜। সেই মামলায় উপজেলা বিএনপির ৪৯ নেতাকর্মী দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাবন্দি রয়েছেন এবং কয়েকজন মারা গেছেন। তাদের উৎসর্গ করে এই বৃক্ষরোপনের আয়োজন করা হয়।

এ ঘটনা সম্পর্কে বৃক্ষরোপণের সেই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে বিএনপি নেতা মনা বিশ্বাস লিখেছেন, “পূর্ব টেংরি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়েরꦓ প্রতিষ্ঠাতা, মৃত ও কারাগারে বন্দিদের স্মরণে বিএনপি নেতা ছোটভাই রফিকুল ইসলাম নয়নের উদ্যোগে আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টুর সঙ্গে বৃক্ষরোপণ করা হলো।”

এদিকে এ ঘটনা ফেসবুকে শেয়ার ও কমেন্টে ঝড় তোলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ ও দ𒁏েশ-বিদেশ থেকে বহু মানুষ। আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ মিন্টুর এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির নিন্ꦉদা জানিয়ে শাস্তি দাবিসহ নানা রকম মন্তব্য করেন তারা।

ঈশ্বরদী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শিরহান শরীফ তমাল বলেন, দায়িত্বশীল পদে থেকে আবুল কালাম আজাদ মিন্টু যে অপকর্ম করেছেন তার বিচার 🌜হওয়া উচিত।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক 💝সম্পাদক মীর জহুরুল হক পুনো বলেন, “আওয়ামী লীগে শীর্ষ পদে থেকে মেয়র নির্বাচিত হয়ে বিএনপি-জামায়াত, রাজাকার ও নকশাল পরিবারের ছেলেদের নিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এবং আর্থিকভাবে তাদের পরিচালনাকারী ও প্রতিষ্ঠাকারীকে প্রতিরোধ করার সময় এসেছে। তার মুখোশ উন্মোচন করা উচি൩ত। দল থেকে তাকে বহিষ্কার করতে হবে।”

ঈ🎉শ্বরদী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল হাসান রনি বলেন, “পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টুর জামায়াত-বিএনপির সঙ্গে কাজ করা আজকে নতুন কিছু নয়। মিন্টু আওয়ামী লীগে থাকা বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ট। শোকের মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাস𝔉িনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার কারাবন্দি আসামিদের স্মরণে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি খুবই ঘৃণিত।”

ঈশ্বরদী পৌর যুবলীগের সভাপতি আলাউদ্দিন বিপ্লব বলেন, “পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালা🧸ম আজাদ মিন্টু বিএনপি নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বৃক্ষরোপন করার ঘটনাটি নিন্দনীয়। আশা করি আওয়ামী লীগের উপজেলা, জেলা সিনিয়র নেতারা বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।”

ঈশ্༺বরদী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র ইছাহক আলী মালিথা বলেন, “বৃক্ষরোপণ করা অপরাধ নয়। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত নেতাদের নিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্🍷রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাবন্দি থাকা বিএনপি নেতাদের স্মরণে বৃক্ষরোপণ করাটা আওয়ামী লীগের জন্য ন্যাক্কারজনক ও চরম ঘৃণিত কাজই শুধু নয় সংগঠন বিরোধী।

জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল বল♔েন, “কাজটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দলীয় প্রধান,  জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। একই সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”

ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ মিন্টু বলেন, “আমি ওই স্কুলের সভাপতি। বিএনপির নেতা মনা বিশ্বাস স্কুলের সদস্য। তিনি স্কুলে গ🦹াছ লাগাতে চেয়েছিলেন। আমাকে বলায় আমি সেখানে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি বিএনপি নেতা নয়নও রয়েছেন। এ🐎ছাড়া আমি, স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও মনা বিশ্বাসসহ কয়েকজন উপস্থিত ছিলাম। এখানে রাজনৈতিক কারণ নেই। অথচ সামান্য বিষয়টি রাজনৈতিক ভাবে হেয় করতে প্রতিপক্ষ অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে।”

স্থানীয় সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাস এ𒁃 ব্যাপারে꧋ কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন।