ব্যতিক্রমী সংবর্ধনায় সিক্ত সাফজয়ী ৫ ফুটবলার

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২, ১০:৫৯ এএম

সাফ জয়ের পর দেশে ফিরে একেক পর এক সংবর্ধনায় সিক্ত হচ্ছেন ফুটবলাররা। এবার নিজ ঘরে ফিরে ব্যতিক্রমী অভ🉐্যর্থনায় সিক্ত পাঁচ নারী ফুটবলার।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ই♒উনিয়নের মগাছড়ি এলাকায় রূপনা, ঋতুপর্ণা, মনিকা,🦩 আনাই ও আনুচিংদের  গাড়ি পৌঁছালে তাদের ফুল ও মশাল জ্বালিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক 🌳কোচ বীরসেন তঞ্চগ্যা, শান্তি মনি চাকমা, ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষক শশী মোহন চাকমাসহ শতাধিক এলাকাবাসী।

এ সময় এলাকাবাসী বলেন, “ঋতꦿুপর্ণা আমাদের গ্রামের মেয়ে। তারা যেভাবে নেপালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের সুন𒅌াম বয়ে এনেছে, আমরাও তার জন্য খুব গর্বিত।”

ঋতুপর্ণা চাকমা বলেন, “আমরা 🅷অনেক দিন পর বাড়ি ফিরেছি একটি সফল টুর্নামেন্ট শেষে। আমাদের এ꧑ভাবে গ্রামবাসী বরণ করে নেবে, তা কল্পনাও করতে পারিনি। আমরা গ্রামবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞ।”

আনাই 🏅মগিনী বলেন, “যদিও আমার বাড়ি খাগড়াছড়ি, আমার বেশিরভাগ সময় কেটেছে এই ঘাগড়া স্কুলে। এখানে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা শিখেছি। আমি ছুটিতে বাড়িতে এলে এখানে চলে আসি স্যারদের সঙ্গে সময় কাটাতে। আজ আমরা যারা দেশের হয়ে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেয়েছি, আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।”

বীরসেন তঞ্চগ্যা বলেন, “দীর্ঘদিন পর প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা হলো। খুবই ভালো লাগছে। প্রাইমারি স্কুলে থাকাকালীন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ফুটবল টুর্নামেন্টে জাতীয় পর্✱যায়ে রানারআপ দলের এই পাঁচজন ছিলাম🐲। সেই থেকে একসঙ্গে পথচলা শুরু।”

ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শশী মোহন চাকমা বলেন, “প্রাইমারি শেষ হওয়ার পর তাদের আমাদের স্ক🌞ুলে ভর্তি করাই। ওদের আমরা হোস্টেলে রাখার ব্যবস্থা করি। লেখাপড়ার পাশাপাশি নিয়মিত খেলাধুলার মাধ্যমে আজ তারা দেশের রত্ন হয়ে উঠেছে।”

পার্বত্য জেলার পাঁচ ফুটবলারের মধ্যে রূপনা চাকমা ও ঋ🥃তুপর্ণা চাকমার বাড়ি রাঙামাটিতে। অন্যদিকে মনিকা, আনাই ও আনুচিংয়ের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলায়। তারা সবাই ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ღের শিক্ষার্থী ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল🐼ে স্কু☂লে তাদের সংবর্ধনা দেওয়ার আয়োজন করা হয়েছে। বিকেলে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের আয়োজনে চিং হ্লা মং মারী স্টেডিয়ামে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।