বিবাহিত কিশোরীকে সংশোধনাগারে পাঠাল ইউএনও

জামালপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২, ০৬:০৬ পিএম

মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিবাহিত এক কিশোরীকে সংশোধনাগারে প🌜াঠিয়েছেন জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার 𝔉(ইউএনও) কামরুন নাহার শেফা। বাল্যবিয়ে করার অপরাধে ওই কিশোরীকে এক মাসের জন্য সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

বাল্যবিয়ের কাজে সহায়তা করার জ🤡ন্য বিবাহিত কিশোরীর ম🦋াকে ৩ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। একই মোবাইল কোর্ট অপর একটি বাল্যবিয়ে পণ্ড করে দেন।

জানা যায়, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নিবাহী অফিসার কামরুন নাহার শেফা খরমা পূর্বপাড়া গ্রামের এক কিশোরীর বাল্যবিয়ের খব𒁏র পান। রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) ওই কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে বিয়ের আয়োজন দেখতে পান। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর মোতাবেক ওই বিবাহিত কিশোরীকে ১ মাসের জন্য সংশোধনাগারে রাখার নির্দেশ দেন। নির্দেশ অনুযায়ি ওই বিবাহিত কিশোরীকে সংশোধনাগারে পাঠায় পুলিশ। এ ছাড়াও বাল্যবিয়ের কাজে সহায়তা করার কারণে ওই বিবাহিত কিশোরীর মাকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন একই মোবাইল কোর্ট।

অপরদিকে রোববার একই গ্রামে আরও একটি বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন কামরুন নাহার শেফা। পরিবারের পক্ষ থ꧃েকে মুচলিকা দিয়ে বাল্যবিয়ের শাস্তি থেকে রক্ষা পায়।

দেওয়ানগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার এনামুল হক খন্দকার জানান, গোপনে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফ🐼িসার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছেন। একটি ভুয়া কবিন নামা প্রদর্শন করে ওই কিশোরী বিয়ে প্রমাণের চেষ্টা করেছে। তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুন নাহার শেফা ওই কিশোরীকে সংꩵশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল চন্দ্র ধর সাংবাদিকদের জানান,🧜 মোবাইল কোর্টের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কিশোরীকে সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।

কামরুন নাহার শেফা সাংবাদিকদের জানান, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সরকার কঠোর। তাই প্রশাসনও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে যথেষ্ট তৎপর। জনগণকে সচেতন ও আইন প্রয়োগের মাধ্যমে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করা হচ্ছে🅘।