রাজশাহীর মোহনপুরে গৃহবধূর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে গ্রাম্য সালিস বৈঠকে জনসমক্ষে এক যুবককে ‘কান ধরে ওঠবস’ করিয়েছেন ইউপি সদস্য। 𝔉ওই ঘটনায় অনৈতিক সম্পর্কে জড়ানো ওই গৃহবধূকে তালাক দিয়েছেন তার স্বামী।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোহনপুর উপজেলার সইপাড়া গ্রামের উত্তরপাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। সালিসে ইউপি সদস্যের এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন উপস্থিত জনগণ। এ ঘটনায় এলাকায় চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বি♛রাজ করছে।
স্থানীয় সূꦍত্রে জানা গেছে, মোহনপুর উপজেলার সইপাড়া গ্রামের উত্তরপাড়া রফিকুল ইসলাম রফিকের ছেলে শফিকুল ইসলামকে একই গ্রামের জনৈক ব্যক্তির স্ত্রীর সঙ্গে মঙ্গলবার বিকেলে পানবরজে অনৈতিক অবস্থায় দেখতে পায় রিয়াজ নামের এক ব্যক্তি। তারপর বখাটে যুবক শফিকুল ইসলামকে আটক করে স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ব🌟𒁃াকশিমইল ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান সদস্য মো. মোস্তফা কামাল পাপুল। শুরু হয় উভয় পক্ষের মারপিট। ওই সময় নীরব ভূমিকা পালন করেন মো. মোস্তফা কামাল পাপুল। ঘটনার কিছুক্ষণ পর ওই গৃহবধূর স্বামী কাজী ডেকে তার স্ত্রীকে তালাক দেয়। এরপর স্থানীয়দের উপস্থিতে গ্রাম্য সালিস শুরু করেন ইউপি সদস্য।
জরুরি ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যান মোহনপুর থানার পুলিশ। কিন্তু পুলিশ গিয়ে ঘটনাটি শুনার পর বলেন, ‘মুরগ🗹ি 🧔চোরের বিচার যেন গরু চোরের মতো না হয়।’ এমন কথা বলে পুলিশ সদস্যরা চলে আসেন।
এরপর ইউপি সদস্য মো. মোস্তফা কামাল পাপুল পুলিশের উদাহরণ দিয়ে পুনরায় শুরু করে নাটকীয় সালিস। অভিযুক্ত যুবককে বাঁচানো চেষ্টা করতে থাকে তিনি। বখাটে যুবককের কারণে গৃহবধূর সংসার ভেঙে 🌺গেল, এমন প্রশ্ন স্থানীয়রা করলে ইউপি সদস্যসহ গ্রাম্য মাতব্বররা বিষয়টি বারবার এড়িয়ে যান। এতে সালিস-বৈঠকে চরম উত্তেজনা শুরু হয়। প্রাಌয় পাঁচ ঘণ্টা সালিস করে ওই যুবককে ‘কান ধরে ওঠবস’ করিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে নেয় ইউপি সদস্য।
ওই গৃহবধূর নিকটতম এক আত্মীয় বলেন, “বখাটে ꦇযুবক ‘কান ধরে ওঠবস’ করেই পার পেয়ে গেল। কিন্তু দুই সন্তান থাকার পরেও একটি সাজানো গুছানো সংসার ভেঙে গেল🧔। এ বিষয়ে ইউপি সদস্যসহ মাতব্বরদের তেমন মাথাব্যথা ছিল না।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য মো. মোস্তফা কামাল পাপুল ফোন ধরে প্রথমেই বলেন, ‘যা ♛দেখেছেন তাই হয়েছে।’
সালিসে কোনো অপরাধীকে কান ধরে ওঠবস করানোর নিয়ম রয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “পুলিশের অনুমতি নিয়ে সালিস করা হয়꧙েছে। এর বেশি কিছু জানতে চাইলে মোহনপুর থানার পুলিশের 🐬সঙ্গে যোগাযোগ করেন “
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মꦇো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে ত෴দন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে সালিসে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কান ধরে ওঠবস করতে পারেন না।”
মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতে🐎মাতুজ্-জোহরা বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে সালিসে কোনো ব্যক্তিকে ‘কান ধরে ওঠবস’ করানো যাবে না। খোঁজখবর নিয়ে বিষয়টি দেখা হবে🍸। যদি ইউপি সদস্য এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন। তবে ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”