স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার, প্রাইভেট টিউটরের দায় স্বীকার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২, ১২:০৫ পিএম
বাইজিদ সরকার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় 🦩পুকুর থেকে আশি෴কা জাহান সিপা (১৬) নামের এক স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় প্রাইভেট টিউটর ও প্রেমিক বাইজিদ সরকার (২৬) আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করেছেন। তিনি আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) হ‌ুমায়ূন কবির।

মৃত স্কুলছাত্রী 🥀সিপা জেলা শহরের গভ. মডেল গার্লস হাইস্কুল থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। সে জেলার সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রামের শাহিন মিয়ার মেয়ে।

বাইজিদ জবানবন্দির বরাত দিয়ে এসআই হ‌ুমায়ূন কবির জানান, বাইজিদ সরকার মুন্সেফপাড়ায় বিভিন্ন বাসাবাড়িতে টিউশনি করান। সিপাকেও তার বাসায় গিয়ে গত তিন বছর ধরে পড়াচ্ছিলেন। এরই মধ্যে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর এক পর্যায়ে বাাইজি💎দকে বিয়ের জন্য চাপ দেয় সিপা♍।

২৭ আগস্ট রাত ২টার দিকে সিপার সঙ𒁃্গে বাইজিদের মোবাইলে কথা হয়। এ সময় সিপা আবারও বাইজিদকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সিপা লুকিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায় এবং বোর্ডিং মাঠের পুকুরপাড়ে বাইজিদ ও সিপা মিলিত হয়। সেখানে তাদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে বাইজিদ জানান, সে সিপাকে বিয়ে করবেন না। এ কথা শুনে সিপা ক্ষুব্ধ হলে বাইজিদ তার চুলের মুঠি ধরে মাথা পাশের গাছের সঙ্গে ধাক্কা দেয়। এতে সিপা অচেতন হয়ে পড়লে তাকে পুকুরে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান বাইজিদ। পরদিন দুপুরে বোর্ডিং মাঠ পুকুর থেকে সিপার মরদেহ উদ্ধার করে সদর মডেল থানা-পুলিশ।

২৮ আগস্ট মরদেহജটি উদ্ধারের পর বাইজিদকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়। পরে সিপার বাবা শাহিন মিয়া বাদী হয়ে বাইজিদকে আসামি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেলꦿ থানা একটি আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলা দায়ের করেন।