আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে ফরিদপুরে গ💎ভীর শোক নেমে এসেছে। তার নির্বাচনী এ🍌লাকা ফরিদপুর-২ আসন ফরিদপুরের নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা এবং সদরপুরের কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।
জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সৈয়দা স꧑াজেদা চৌধুরী। ১৯💧৭০ এর নির্বাচনে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর ১৯৭৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংসদ নির্বাচনেও জয়লাভ করেন।
১৯৯১ এর নির্বাচনেও তিনি🀅 সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে টেকনোক্র্যাট কোটায় বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নিযুক্ত করা হয়।
২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও তিনি 😼বিজয়ী হন। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি জাতীয় সংসদের উপনেতা হয়ে পরাপর তিনবারের গঠিত জাতীয় সংসদের এ পদ অলংকৃত করে𝕴ন।
১৯৩৫ সালের ৮ মে জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। তার পৈত্রিক নিবাস ফরিদপুরের সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে। বাবার নাম সৈয়দ শাহ হামিদ উল্লাহ এবং মাতা সৈয়দা আছিয়া খাতুন। তিনি তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তার স্বামী গোলাম আকবর 🌌চৌধুর��ী ২০১৫ সালের নভেম্বরে মারা যান।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা ৪০ মিনিটে সম্মিলিত সামরিক হাস♐পাতালে▨ চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল💯 ১১ট💜ায় ফরিদপুরের নগরকান্দার এমএন একাডেমি মাঠে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিকাল ৩টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত জাতীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধার জন্য রাখা হবে। পরে বাদ আসর বায়তুল মোকাররম মসজিদ দ্বিতীয় জানাজা শেষে রাজধানীর বনানী করবস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে সাজেদা চৌধুরীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তার (পিও) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, উচ্চরক্তচাপসহ বার্ধক্যজনিত স🐽মস্যা নিয়ে কিছু দিন আগে সিএমএইচে ভর্তি হন তিনি। বেশ কয়েক বছর ধরেই অসুস্থ ছিলেন সাজেদা চৌধুরী।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ১৯৫৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ১৯৬৯–১৯৭৫ সময়কালে তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠা꧒তা পরিচালক ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
১৯৭২-১৯৭৫ সময়কালে বাংলাদেশ নারী পুনর্বাসন বোর্ডের পরিচালক, ১৯৭২-১৯৭৬ সময়কালে বাংলাদেশ গার্ল গাইডꦛের ন্যাশনাল কমিশনার এবং ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যার পর সংকটময় মুহূর্তে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৭৬ সালে সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। পরে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি আওয়া🅰মী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এর আগে ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।
১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯২ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয💟়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রদত্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।