কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী বালারহাট বাজারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিক্রি হচ্ছে মাছ ও মাংস। পানি নিস্কাশনের অভাবে ময়লা ও আবর্জনাসহ পচা কাদাযুক্ত পানির উৎকট দুর্গন্ধে সীমাহীন দুর্ভোগ আর স্বাস্থ্য ঝুঁ🅷কির শিকার হচ্ছেন ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সাধারণ মানুষ। যেন দেখেও না দেখা কিংবা শুনেও না শোনার মতো পরিস্থিতি।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে ফুলবাড়ীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে🦂 দেখা যায়, উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় বাজার বালারহাট বাজার। এই বাজারে দীর্ঘদিন ধরে কাদা আর ময়লা-আবর্জনায় পরিপূর্ণ দুর্গন্ধে চরম ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে মাংস ও মাছ হাটির অবস্থা খুবই করুণ। সেখানে পচা কাদাযুক্ত পানির দুর্গন্ধে বাতাসের মাধ্যমে রোগ জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে পরিবেশে মারাত্মক ক꧃্ষতি করছে। এতে রোগব্যাধি দেখা দিচ্ছে প্রতিনিয়ত।
অন্যদিকে, বাজারটিতে নেই ময়লা রাখা ডাস্টবিনের কোনো ব্যবস্থা। পুরাতন ড্রেনেজগুলো অকেজো হওয়ায় ক⛎াঁদা আর নোংরা পানির পাশাপাশি প্লাষ্টিকের ছোট বড় ব্যাগ দিয়ে ড্রেন ভর্তি হয়ে গেছে। এসব ময়লা যুক্ত জায়গায় বসবাস করছে মাছি আর পোকা-মাকড়। এসব ম💃াছি ও পোকা-মাকড়ের উপদ্রবে বাজারে যাওয়া দুস্কর হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের।
তাই বাধ্য হয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সাধারণ মানুষ দিনের পর দিন তাদের নিত্যদ꧑িনের কেনা কাটা করছেন। পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ।
ক্রেতা-বিক্রেতাদের অভিযোগ, সরকার প্রতি বছর এ হাট থেকে লাখ লাখ টাকা ইজারা বাবদ রাজস্ব আদায় করলেও মাছ ও মাংস হাট্টির পানি নিস্কাশনের জন্য ড্রেনগুলো সংস্কার না করার ফলে কাঁদা, ময়লা ও আবর্জনায় বন্ধ হয়ে গেছে। দুর্গন্ধে বাজারে হাঁটা-চলা করা বড়ই ♛কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ডাস্টবিনের অভাবে হাট-বাজারের ময়লা আবর্জনাগুলো বাজার সংলগ্ন সড়কের পাশেই ফেলা হচ্ছে।
অপরদিকে, বালাহাট বাজারের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তাদের দোকা🌼নের সম্মুখ ভাগ উচুঁ করে নেওয়ায় গলিগুলো নিচু হয়ে গেছে। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই ময়লাযুক্ত কাদাসহ ড্রেনের উপচে পরা পানি, বৃষ্টির পানি জমে থাকায় সব চেয়ে খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে মাছ বাজার ও সবজি বাজারগুলোতে।
বালারহাট বাজারের মাছ বিক্রেতা তপন চন্দ্র বিশ্বাস ও মানু বিশ্বাস বলেন, “আমরা জীবন-জীবিকার তাগিতে বছরের পর বছর পচা দুর্গন্ধের মধ্যেই বসে মাছ বিক্রি করে আসছি। ইজারাদারতো শুধু তাদের ইজারা তোলেন। আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। বাজারের ড্রেনগুলো পরিষ্কার না করায় কাদা জꦅমে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। আমরা বাধ্য হয়ে পচা দুর্গন্ধ সহ্য করেই আছি।”
একই বাজারের মাংস বিক্রেতা নুর মোহম্মদ ও মাসুদ রানা বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন থেকে পচা দুরꦆ্গন্ধ সহ্য করেই পশু জবাই করছি। হাট-কমিটিকে বলার পরও তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে না।”
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পশু জবাইয়ের বি✃ষয়টি স্বাস্থ্য সম্মত কি♏ না প্রশ্ন করলে এই দুই মাংস বিক্রেতা আরও বলেন, “জানি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। কিন্তু কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমরা বাধ্য হয়ে পচা দুগন্ধ সহ্য করে মাংস বিক্রি করছি।”
বাজার করতে আসা ক্রেতা রতন চন্দ্র রায় বলেন, “বাজারে মাছ ও মাংস কিনতে গেলে নাক বন্ধ করে যেতে হয়। অবস্থ🌠া এতোই খারাপ যে বলার ভাষা নেই। বিষয়টি সবার নজরে থাকলেও পরিষ্কারের🌌 কোনো উদ্যোগ নেই।”
এ ব্যাপারে বালারহাট বাজার কমিটির সভাপতি ও নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাছেন আলী বলেন, “দুই একটি দোকানের কারণে মাছ হাট্টির ড্রেনেজ ব্যবস্থা অকেজো হওয়ায় কাঁদা আর নোংরা পানির পাশাপাশি প্লাষ্টিকের ছোট বড় ব্যাগ দিয়ে ড্রেন ভর্তি হয়ে গেছে। এসব ময়লা যুক্ত জায়গায় বসবাস করছে মাছি আর জীবাণুযুক্ত পোকা-মাকড়। এসব মাছি ও পোকা-মাকড়সহ পচা দুগন্ধে মাছ হাট্টি যাওয়া দুস্কর হয়ে পড়েছে🍷। তারপরেও সাধারণ মানুষ পচা দুর্গন্ধ সহ্য করে প্রয়োজন মিঠাতে মাছ ও মাংস ক্রয় করছেন। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃকপক্ষকে জানানো হবে।”
ফুলবাড়ী স্যানিটারী ইন্সপেক্টর সামছুল আরেফিন বলেন, “বালꦅারহাটে নিদিষ্ট পশু জবাই খানা নেই। বি🐟ষয়টি হাট-কমিটিকে জানানো হবে। কোনো মাংস বিক্রেতা যদি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাংস জবাই করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”