দুর্গাপূজা সামনে রেখে ব্যস্ত প্রতিমাশিল্পীরা

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২, ১১:২২ এএম

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ঘিরে প্রতিমা তৈরির ধুম পড়েছে। কারিগরদের দম ফেলার ফুরসত নেই। কয়েক দিন বাদেই প্রতিমার গায়ে পড়বে রঙের আঁচড়। ♒যশোরের শার্শা উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপে জোরেশোরে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। বাঁশ-কাঠ আর কাদামাটি দিয়ে তৈরি প্রতিমাগুলো দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন সনাতন ধর্মের লোকজন।

শার্শা-বেনাপোল মিলে এবার ২৯টি মণ্ডপে পূজা হওয়🐟ার কথা রয়েছে। ২৫ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্যে দিয়ে ঢাকঢোল আর কাঁসার বাদ্যে শুরু হবে পূজার আনুষ্ঠানিকতা।

গত দুই বছর করোনাভাইরাসের কারণে প্রতিমা তৈরি কিছুটা কম𒁏 থাকলেও এবার কাজের চাপ বেড়েছে, বেড়েছেꦆ মজুরিও। এমনটায় জানান প্রতিমা তৈরির মৃৎশিল্পীরা।

সরেজমিন ঘুরে প্রতিমাশিল্পীদের ব্যস্ততার চিত্র দেখা গেছে। পূজামণ্ডপে কাদামাটি, বাঁশ, খড়, তুলি দিয়ে শৈল্পিক শ্রদ্ধায় তিল তিল করে গড়ে তোলা হচ্ছে মহামায়া দেবী দুর্গাকে। শিল্পীদের নিপুণ আঁচড়ে তৈরি হচ্ছে একেকটি প্রতিমা। অতি ভালোবাসায় তৈরি করা হচ্ছে দুর্গা, সরস্বতী, লক্ষ্মী, কার্তিক, গণেশ, অসুর ও শিꦰবের মূর্তি।

মৃৎশিল্পী তাপস জানান, বয়সের অর্ধেক জীবন তিনি প্রতিম𒁏া তৈরি করেছেন। এ পর্যন্ত তিনি অসংখ্য প্রতিমা তৈরি করেছেন। পূজা শুরু ১০-১৫ দিন আগেই প্রতিমার পুরো সেট তৈরি, রং করাসহ সকল কাজ শেষ করা হয়।

মৃৎশিল্পী রাজন জানান, আগে একটা প্রতিমা সেট তৈরি করতে খরচ হতো ২০ থেক🍌ে ৩০ হাজার টাকা। কিন্তু এখন বাঁশ, কাঠ, কাদা মাটিসহ প্রতিমা তৈরির উপকরণের দাম অনেক বে🍎শি। তাই প্রতি সেট প্রতিমা তৈরিতে খরচ হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা।  গত কয়েক বছরের তুলনায় মজুরি বৃদ্ধি পেয়েছে।

উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সূত্রে জানা যায়, 💞চলতি বছর উপজেলাজুড়ে ১১টি ইউনিয়নে ২৯টি মন্দির ও মণ্ডপে পূজার আয়োজন চলছে পুরোদমে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের শার্শা উপজেলা কমিটির সভাপতি শ্রী বৈদ্যনাথ দাস বলেন, “হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। যে কারণে এই পূজায় বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। উৎসবকে শান্তিপূর্ণভাবে করতে প্রশাসনের পাশাপাশি প্🔯রতিটি মণ্ডপের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করা হবে।”

যশোরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নাভারণ সার্কেল) জুয়েল ইমরান বলেন, “শারদীয় দুর্গোৎসব নির্বিঘ্নে ও উৎসবমুখর করতে সার্বিক নিরাপতꦓ্তার বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতি রয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য পুলিশ সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। প্রতিটা মণ্ডপ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নজরদারিতে থাকবে।”