কুড়িগ্রাম পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চর ভেলোকোপা এলাকার মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে একটি সেতুর অভাব পূরণ হলেও পা💖ঁচ বছর ধরে এর সুফল পাচ্ছেন না গ্রামবাসী। ফল🧸ে বছরের পর বছর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোতে ভর করে চলাচল করতে হচ্ছে এখানকার কয়েক হাজার বাসিন্দার।
সরেজমিনে দেখা যায়, ২০১১-১২ অর্থবছরে কুড়িগ্রাম পৌরসভার অধীনে টাপু ভেলাকোপার হানাগড়ের মাথায় পিচঢালা রাস্তা ও ব্রিজের সংযোগ সড়ক🎐সহ ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় হানাগড়ের ব্রিজ। ১৭ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৫ মিটার প্রস্থ ব্রিজটি গ্রামবাসীর জন্য আশীর্বাদ হয়ে এলেও ২⭕০১৭ সালের বন্যায় অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায়। সেতুটি অক্ষত থাকলেও ভেঙে যায় সংযোগ সড়ক।
উপায়ান্ত♋র না পেয়ে এলাকাবাসী বাঁশের সাঁকো তৈরি করে চলাচলের ব্যবস্থা করেন। এ বছর পৌর কর্তৃপক্ষ কাঠ ও বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে দিলেও ভোগান্তি কাটেনি দুই পাড়ের প্রায় ১০ হাজার বাসিন্দার।
পৌর শহরে ভ্যানচালক মো. সাইদুর রহমান বলেন, “কাঠের সাঁকো বাঁশের সাঁকো দিয়ে আর কত বছর এমন করে চলব। এ সাঁকোগুলো দুই মাস পরপর ভেঙে যায়। কী বলব, আমাদের দু൩ঃখের শেষ নেই। মানুষ একাই এ সেতু দিয়ে পার হতে পারে না। আমার ভ্যান পারাপার করতে হয়। অনেক সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। ছোট বাচ্চারা পারাপার হতে কখন কোন দুর্ঘটনা ঘটবে কে জানে।”
ভেলাকোপার বাসিন্দা আয়নাল হক বলেন, “প্রতিদ💎িন এই সেতু দিয়ে হাজার মানুষ যাতায়াত করে। ছোট বাচ্চারাও পার হꦇয়। হঠাৎ করে যদি কেউ এখান থেকে পড়ে যায়, মৃত্যু ছাড়া উপায় নেই।”
মাদ্রাসা শিক্ষার্থী মো.𝓀 আবু ইউসুফ বলেন, “আমরা এ সেতু দিয়েꦛ মাদ্রাসায় যাই। বাঁশের পুল দিয়ে পার হতে ভয় লাগে। আমাদের কষ্ট হয়।”
স্থানীয় কৃষক মো. আবুল হোসেন বলেন, “আমরাꦓ কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। চাষাবাদের জন্য তেল, সার কিনে জমিতে নিয়ে যেতে অনেক কষ্টের সম্মুখীন হচ্ছি। এছাড়া আমরা শাকসবজি তুলে বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে যেতে এত বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছি যে তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না।”
ভেলাকোপা ৬ নম্বর ওয়ার🎶্ড কাউন্সিলর মো. জমশেদ আলী টুংকু বলেন, “আমি অনেকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছি। তবে অর্থ বরাদ্দ করে সেটি মেরামত করা তাদের দায়িত্ব। স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে আমি নিজেও এই ব্রিজের মেরামতের কাজ করেছি। আমি চাই টেকসই পরিকল্পনা নিয়ে সেতুটির সংযোগ সড়কের কাজ করা হোক।”
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পৌরসভার মেয়র মো. ক🌜াজিউল ইসলাম বলেন, “ভেলাকোপা ব্রিজটির ব্যাপারে কাগজপত্র ঢাকা পাঠিয়েছি। বরাদ্দ এলে দ্রুত কাজ করা হবে।”