প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা না থাকলে সব ভাই ভেসে যাবেন বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি বলেছেন, “বিভিন্ন নামে স্📖লোগান দেওয়া বন্ধ করুন। শেখ হাসিনার নামে স্লোগান দেন।”
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ শেখ রাসেল স্টেডিয়ামে উপজেলা আওয়ামী ল🦩ীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থার কথা তুলে ধরে আইভী বলেন, “জননেত্রী যার হাতে নৌকা তুলে দিবে সেই হবে আমাদেরꦡ নৌকার মাঝি। জাতীয় পার্টি এখানে মেনে নেওয়া যায় না৷ দশ বছরে তারা আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করেছে। নারায়ণগঞ্জের কিছু নেতাদের কারণে তারা এখানে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে না।”
নারায়ণগঞ্জ থেকে মিছিল না গেলে ঢাকায় মিছিল জমত না উল্লেখ করে সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন,ܫ “আদমজী থেকে মিছিল না গেলে ঢাকায় মিছিল জমত না। সে ইতিহাস আপনারা সকলে জানেন। এক নেতার এক দেশ হয়ে গেছে নারায়ণগঞ্জ। এ মুহুর্তে সত্য বলা যাবে না। আমি সম্মেলনের সাফল্য কামনা করছি।”
তিনি বলেন, “ঢাকার নেতৃবৃন্দকে বলছি- যথাযথ সম্মান সকꦛলকে দেওয়া উচিত। আওয়ামী লীগের সম্মেলন বলে ক্ষুদ্র কর্মীদের অবহেলা করা যাবে না। এ দল টিকে আছে কর্মীদের জন্য। দুঃসময়ে যারা হাল ধরে, তাদের অসম্মান করার অধিকার নারায়ণগঞ্𓃲জের যত বড় নেতাই হন- আপনার নেই।”
আইভী বলেন, “সোনারগাঁয়ে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা আওয়ামী লীগের ছিল। আমরা মোবারক সাহেবদের ভুলে যাইনি। তিনি রাজনীতি করেছেন আলী আহমদ চুনকার নেতৃত্বে। বঙ্গবন্ধু নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়া মিউচুয়াল ক্লাবে আওয়ামী লীগের 🐟কমিটি গঠন করে। যা পরবর্তীতে ঢাকা রোজ গার্ডেনে আত্মপ্রকাশ করে। আওয়ামী লীগের সকল স্তরের নেতাদের যেন কমিটিতে রাখা হয়। যাদের দুঃসময়ে খোঁজে পাওয়া যায়নি, তারা নয় সব সময় যারা দলের পাশে ছিল তাদের ডেকে আনুন।”
সোনারগাঁয়ে কি নেতার এতই ঘাটতি যে এখানে বার বার জাতীয় পার্টির হাতে তুলে দিতে হবে। এমন প্রশ্ন রেখে আইভী বলেন, “নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন নিয়ে দীর্ঘদিন💃 ধরে ষড়যন্ত্র চলছে। সে𒁃খানে না হয় কারণ ছিল যে জোহা কাকার ছেলে জাতীয় পার্টি করে তাকে দিতে হবে। কিন্তু সোনারগাঁয়ে ছাড় দেওয়ার কারণ কী? এখানে কি নেতা নেই।”
সোনারগাঁয়ের আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করা হয়েছে দাবি করে সেলিনা হায়াৎ বলেন, “সোনারগাঁয়ের আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীর𓂃া নির্যাতিত ও হামলা–মামলার শিকার। নারায়ণগঞ্জের হস্তক্ষেপের কারণে সোনারগাঁ আওয়ামী লীগ মাথা তুলে দাঁড়াতে পꩵারে না। এখানে তৃণমূল নেতৃত্ব দেবে।”
এ সময় কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নবিউল্লাহ হিরু, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, মুন্🀅সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মৃণাল ক্রান্তি দাস, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কায়সার হাসনাত, সোনারগাঁ উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত শহিদ মোহাম্মদ বাদল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের শিল্পবিষয়ক সম্পাদক এস এম জাহাঙ্গীর, সদস্য আনিসুর রহমান দিপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।