যশোরের শার্শা উপজেলায় চলতি বছর পাটের বাম্পার ফলন হওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটলেও পানির𓃲 অভাবে পাট জাগ দেওয়া (পচানো) নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পাটচাষিরা।
আষাঢ় শ্রাবণ পেরিয়ে ভাদ্র মাসের শুরুতেও উপজেলার পর্যাপ্ত🔯 পরিমাণ বৃষ্টি না হওয়ায় চাষিদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসে উপজেলার অধিকাংশ খাল-বিলে পানিতে ভরপুর থাকার কথা থাকলেও চলতি মৌসুমে এবার ভাদ্র মাসের শুরুতেও এখন শুকনো। কোনো কোনো জলাশয়ে সামান্য পানি থাকলেও পাট পচানোর জন্য তা যথেষ্ট নয়। ফলে ভারী বৃষ্টি না হলে সোনালি আঁশ পাটচাষিদের গলার ফাঁস হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন এ এলাকার পাটচাষিরা।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ভরা বর্ষা মৌসুমেও যথেষ্ট পরিমাণ বৃষ্টিপাত না হওয়ায় খাল বিল ডোবা নালা শুকিয়ে গেছে। তাই কৃষকরা উঁচু জমি থেকে পাট কেটে ডোবা ও পুকুরে সেচের পানি দিয়ে পাট পচন দিচ্ছেন। কেউবা আবার ৭-৮ কিলোমিটার দূরে নদী বা খালে নিয়ে সেই পাট জাগ দিচ্ছেন। আনেকেই বিঘাপ্রতি টাকার চুক্তিতে অন্যের পুকুর ব্যবহার করছেন পাট জাগের জন্য। এতে কৃষকের ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে বাজারে চাহ♓িদা ও দাম ভালো থাকলেও অনেকেই লোকসানের মুখে পড়ছেন।
উপজেলার ছোট নিজামপুর গ্রামের পাটচাষি আব্দুল আজিজ বলেন, “চলতি বছর পাট চাষ করে বিপাকে পড়েছি। পাট কাটার উপযোগী হলেও, পচানোর জায়গার সংকট। যার ফলে পাট কেটে সেচ দিয়ে পানি উত্তোলন করে সেই পানিতে পাট পচন দিত🅰ে হবে।”
চাষি সাইফুল ইসলাম শুকুর বলেন, “গত বছরের তুলনায় চাহিদা ও দাম ভালো হলেও এ বছর খাল-বিলে💝 পাট পচানোর পানি না থাকায় পাট বাড়তি খরচ হচ্ছে। ফলে লাভবান হওয়ার কথা থাকলে সেটা সম্ভব হচ্ছে না।”
শাড়াতলা এলাকার চাষি শান্তি মিয়া জানান, এ বছর ভাদ্র মাসেও পাট কেটে পচা💞নোর মতো পানির ব্যাপক সংকট। কিন্তু পাট তো কাটার উপযোগী হলে বেশি দিন রাখা সম্ভব হয় না। ফলেꦛ অনেক গাছ মারা (শুকিয়ে গেছে) যাচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার প্রতাপ মণ্ডল বলেন, “এ বছর পাটের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৫ হাজার ২০০ হেক্টর জমি🍸। আর আবাদ হয়েছে ৫ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে। চাষিরা উপযুক্ত পানি না থাকাতে পাট নিয়ে বিপাকে আছেন। উপজেলায় সরকারি যে জলাশয়গুলো আছে পাট নিয়ে যারা বিপাকে আছেন, তারা সরকারি জলাশয়গুলো ব্যবহার করতে পারেন।”