পটুয়াখালীতে বেআইনি ভাবে উচ্ছেদ পরিচালনা করার অভিযোগে জেলা প্রশাসনে বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাউফল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও༺ উপজেলা আওয়াম🅘ী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদার।
শনিবার বেলা ১১টায় পটুয়াখ🎀ালী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তার সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়া❀মী লীগ নেতা মোতালেব হাওলাদার অভিযোগ করে জানান, প্রশাসন বিনা নোটিশে আইন ভঙ্গ করে উপজেলা বগাবন্দরে তার র্দীঘদিনের পাকা স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছে। এ উচ্ছেদের পেছনে প্রভাবশালী এক নেতার হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তার।
লিখিত বক্তব্যে আব্দুল মোতালেব হাওলাদার জানান, রেকর্ডিয় মালিক আনিছুর রহমানের কাছ থেকে ১৯৯৩ সালে উল্লেখিত জমি ক্রয় করে র্দীঘ ২৮/২৯ বছর ওই জমি তার ভোগ দখলে রয়েছে। গত ১৬ আগস্ট পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( রাজস্ব) মো. ওবায়দুর রহমান বাউফল উপজেলার ৯৬নং জ🦩েএলভুক্ত বগা মৌজার ঐ জমি ০১নং খাস খতিয়ানভুক্ত দাবি করে তা ছেড়ে দিতে নোটিশ প্রদান করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, জমির মালিক তিনি নিজে হলেও তাকে নোটিশ না দিয়ে জেলা প্রশাসন তার বড় ছেলে বগা ইউনিয়ন𒈔 পরিষদের চেয়ারম্যান হা💛সান মাহমুদ এবং ছোট ছেলে হাসিব হাওলাদারকে নোটিশ প্রদান করেন। উল্লেখিত নোটিশে ১৭ আগষ্ট শুনানীর দিন রাখা হয়।
তিনি জানান, প্রেরিত নোটিশটি ১৭ আগস্ট হাতে পেয়ে তাৎক্ষণিক উল্লেখিত জমির অনুকূলে প্রয়োজনীয় ও যথেষ্ট প্রমাণাদি নিয়ে স্বাক্ষরকৃ൲ত কর্মকর্তার দপ্তরে তার ছেলেরা হাজির হয়ে তা উপস্থাপন করে। কিন্তু শুনানিতে কোনো প্রকার আদেশ ও মতামত না দিয়ে ১৯ আগস্ট জমিতে গড়া পাকা স্থাপনা গুড়িয়ে দেয় জেলা প্রশাসন।
উচ্ছেদ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( রাজস্ব) মো. ওবায়দুর রহমা𝓡ন জানান, যে জমিতে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছিল সে জমি এক নাম্বার খ♔াস খতিয়ান ভুক্ত। উল্লেখিত জমি একটি হাসপাতালের অনুকূলে বন্দোবস্ত দেওয়া। যারা জমিতে অবৈধ দোকান তুলে ভাড়া দিয়েছিল তাদের নোটিশ করা হয়েছিল। তারা জমির অনুকূলে কোনো কাগজপত্র প্রদর্শন করতে পারেনি, তাই তাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। এখানে কারো রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনা করার সুযোগ নেই দাবি করে তিনি বলেন, যারা সরকারি জমি দখল করেছে তাদেরই উচ্ছেদ করা হয়েছে।