নাটোরে কলেজশিক্ষিকা খায়রুন নাহারের (৪০) মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী কলেজছাত্র মামুন হোসেনকে (২২) আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তার জামিন নামঞ༒্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোসলেম উদ্দীন এ আদেশ দেন।
সদর হা🍌সপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. পরিতোষ রায় জানান, ময়নাতদন্তে কলেজশিক্ষিকার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পুলিশের সুরতহাল ও মেডিকেল টিমের রিপোর্টে হত্যার বিষয়ে নিশ🧸্চিত না হওয়ায় আলামত ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ জানান, রোববার রাতে কলেজশিক্ষিকার চাচাতো ভ𓆏াই সাবের উদ্দিন বাদী হয়ে থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। মামলায় কাউকে অভিযুক্ত না করায় আটক মামুনকে ৫৪ ধারায় সোমবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এক বছর আ🐭গে ফেসবুকে নাহারের সঙ্গে একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের কলেজছাত্র মামুনের পরিচয় হয়। পরে তাদꦉের দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। পরে ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর কাউকে না জানিয়ে গোপনে বিয়ে করেন তারা।
বিয়ের ছয় মাস পর তা🎃দের সম্পর্ক জানাজানি হলে ছেলের পরিবার তা মেনে নেয়। তবে মেয়ের পরিবার মেনে নেয়নি। এই অসম বিয়ে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার জন্ম দেয়।
ওই কলেজশিক্ষিকা এর আಞগে বিয়ে করেছিলেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার এক ছেলেকে। পারিবারিক কলহে সেই সংসার বেশি দিন টেকেনি। প্রথম স্বামীর ঘরে দুই ছেলে সন্তান রয়েছে বলে জানা যায়।