বরগুরায় উঁচু জোয়ার-বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

বরগুনা প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২২, ০৭:১৪ পিএম

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে। পূর্ণিমা ও বায়ুচাপে𝔍র প্রভাবে কোথাও কোꦫথাও ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হচ্ছে।

লঘুচাপের 🐟কারণে গত মঙ্গলবার থেকে বরগুনায় বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বিপৎসীমার ওপ🐼র দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে জেলার প্রধান তিনটি নদী পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বরের জোয়ারের পানি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বরগুনার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বসতবাড়ি তলিয়ে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্নাঞ্চলের মানুষেরা। ক্ষতিগ্র♎স্ত বাঁধ ভা𝄹ঙার আতঙ্কে রয়েছেন অনেকে।

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য মতে, শনিবার (১৩ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে রোববার (১৪ আগস্ট) সকাল ৯টা পর্যন্ত ৫১ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। জেলার বিষখালী, পায়রা ও বলেশ্বর নদীর পানি 🥃বিপৎসীমার ৭২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় ৫১ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত র꧂েকর্ড করা হয়েছে।

বরগুনা জেলা টཧ্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, “লঘুচাপের সংকেত পাওয়ার পর মাছ ধরার ট্রলার💎গুলো নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে।”

ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) বরগুনার রেডিও অপারেটর গোলাম মাহমুদ বলেন, “বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে বরগুনায় বৃষ্টি হচ্ছে। তবে, এ বৃষ্টিপাত কয়দিন থাকবে তা নিশ্চিত করে▨ বলা যাচ্ছে না।”

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী নূরুল ইসলাম বলেন, “ভারী বৃষ্টি, পূর্ণিমা ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে পানি বাড়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিষখালী, পায়রা ও বলেশ্বর নদীর পানির উচ্চতা গত কয়েক দিন ধরে বেশি রয়েছে। বৃষ্টি হ্রাস না পাওয়া পর্যন্ত প্রত্যেক জোয়ারে নিম্নাঞ্চল প্লাবি💯ত হওয✤়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী ঝড়ের শঙ্কায় দেশের সব সমুদ্র বন্দর🍷গুলোতে তিন নম্বর এবং নদীবন্দরগুলোর কোথাও দুই নম্বর ও কোথাও এক নম্বর সতর্কতা সংকেত চলছে।

পূর্বাভা𒊎সে জানানো হয়, নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৪ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পার🍷ে। এজন্য উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।