বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূ🅷লে মাছ ধরার ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১২ 𝓀আগস্ট) বিকেলে বঙ্গোপসাগরের নাজিরারটেক পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। এতে ২২ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছেন সাগরে থাকা অন্য জেলেরা।
ডুবে যা🐻ওয়া ট্রলারের নাম এফবি আল্লাহর দান। এর মালিক মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি সাইরার ডেইল এলাকার শের উল্লাহ। জাল, তেল, মালামালসহ প্রায় দেড় কোটি টাকা ট্রলারটির মূল্য বলে জানিয়েছেন ট্রলারমালিকের ছেলে এজাজুল হক (১৮)। ডুবে যাওয়ার সময় এজাজুল হক ট্রলারেই ছিলেন।
বেঁচে ফেরা জেলে এজাজুল হক জানান, শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে ২২ জন জেলে নাজিরারটেক উপকূল থেকে মাছ ধরার জন্য সাগরের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। ট্রলারে তেল, খা♊দ্যসামগ্রীসহ ২ লাখ টাকার মালামাল মজুত করা হয়। কিন্তু বঙ্গোপসাগরের নাজিরারটেক পয়েন্টে পৌঁছাতেই ট্রলারটি বালুতে আটকা পড়ে। এরপর ঢেউয়ের আঘাতে ট্রলারটি উল্টে যায়। ট্রলারটি উল্টে ১১ জন জেলে পানিতে পড়ে যায় আর বাকিরা ট্রলারটির নানা অংশ ধরে ভাসতে থাকে। পরে সাগরে থাকা জেলেদের ৪টি ট্রলার নিয়ে এগিয়ে এসে সবাইকে উদ্ধার🐷 করে।
উদ্ধার হওয়া কোরবান আলী বলেন, “ট্রলারটি উল্টে যাওয়ার পর প্রথমে আমি পানিতে পড়ে যাই। পরে সাঁতার কেটে উপকূলে উঠার চেষ্টা করি। কিন্তু উপকূল অনেক দূরে ছিল। একপর্যায়ে মনে করে ছিলাম পানিতে๊ ডুবে মারা যাব। কিন্তু আল্লাহর রহমতে অন্য জেলে এসে উদ্ধার করেছে।”
নাজিরারটেক মাঝিমাল্লা সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক খালেদ মোশারফ বলেন, “ট্রলার থেকে ২২ জন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখন ট্রলারটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এ🔯রই মধ্যে বেশ কয়েক ঘণ্টা চেষ্টার পরও উদ্ধার করতে পারছি না ভাটার কারণে। আশা করি জোয়ার আসলে ট্রলারটি টেনে তুলে উপকূলে নিয়ে আসতে সক্ষম হব।
ܫউদ্ধার হওয়া💜 জেলেরা হলেন এজাজুল হক, নাছির উদ্দিন, রেজাউল, জয়নাল,আব্দুল আজিজ, নুর, নুরনবী, বাদশা, ছোটন, আজিজ, রুহুল কাদের, জাহাঙ্গীর, নেছার, শাহাবউদ্দিন, নুর হোসেন, বশর, রবিউল, কালু, কোরবান আলী, জাবের। বাকি দুইজনের নাম জানা যায়নি। উদ্ধার হওয়া জেলেরা সবাই উপজেলার মাতারবাড়ি ইউনিয়ন এলাকার বাসিন্দা।