ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ১২ বছর বয়সী একজন ছাত্রকে বলাৎকারের মামলায় গোলাম রহমান (৪৪) নামের ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার ক𒉰রে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। একই মামলার প্রধান আসামি আবাসিক শিক্ষক নুর নবী পলাতক। তিনি পার্বত্য খাগড়াছড়ির রামগড় এলাকার বাসিন্দা।
বুধবার (১০ আগস্ট) ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ওই ছাত্রোর স্বাস্থ্য (শারীরিক)ღ পরীক্ষা ও ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অপরাজিতা দাসের আদালতে জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে।
পুলিশ ও ওই ছাত্রের পারিবার জানায়, প্রায় দুই বছর আগে ওই ছাত্রকে মাদ্রাসার হেফজ বিভাগে ভর্তি করা হয়। বাড়ি থেকে দূরত🃏্বের কারণে ও লেখাপড়ার সুবিধার জন্য তাকে মাদ্রাসার আবাসিকে রাখা হয়। কিছুদিন থেকে মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষক নুর নবী ওই ছাত্রকে বেশ কয়েকবার বলাৎকার করেন। কাউকে না বলতেও সতর্ক করে দেওয়া হয় ও নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখানো হয়। এক পর্যায়ে ওই ছাত্র অতিষ্ঠ হয়ে বাড়ি চলে যায়। তাকে আবারও মাদ্রাসায় দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হলে ছাত্রটি তার মায়ের কাছে ওই আবাসিক শিক্ষকের নগ্নতার এবং তাকে একাধিকবার বলাৎকারের বিষয়টি জানায়। ঘটনাটি মাদ্রাসার মুহতামিম গোলাম রহমানকে জানানো হলে তিনি ওই আবাসিক শিক্ষক নুর নবীকে পালাতে সহায়তা করেন।
এর আগে মঙ্গলবার 🥀(৯ আগস্ট) রাতে ওই ছাত্রের মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মাদ্রাসার মুহতামিম গোলাম রহমান ও আবাসিক শিক্ষক নুর নবীকে আসামি করে সোনাগাজী থানায় একটি মামলা করেন। মামলা পরই পুলিশ মাদ্রাসার মুহতামিম গোলাম রহমানকে গ্রেপ্তার ও বুধবার ফেনীর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়ে꧋ছে। প্রধান আসামি আবাসিক শিক্ষক নুর নবী পলাতক রয়েছেন।
সোনাগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ হোসেন মাদ্রাসার শিশু ছাত্রকে ধর্ষণের মামলায় একজন শিক্ষককে গ্রেপ্তার ও আদালতের মাধ্যমে 🍸জেলহাজতে পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বুধবার ফেনীর একজন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শিশুটির ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছ💧ে।