হাকালুকি হাওরে বিরল জলস্তম্ভ

সিলেট প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ২৪, ২০২২, ০৬:২৮ পিএম

মৌলভীবাজারে🔯র বড়লেখা উপজেলার হাকালুকি হাওরের চাতলবিল এলাক🔜ায় বিরল জলস্তম্ভের দেখা মিলেছে। শনিবার (২৩ জুলাই) বিকেলে ওই জলস্তম্ভের দেখা মেলে।

জলস্তম্ভ হচ্ছে♈ জল দিয়ে মোড়ানো বাতাﷺসের তৈরি পিলার। টর্নেডোর ফলে এটি সৃষ্টি হয়। জলভাগের ওপর শক্তিশালী টর্নেডো সৃষ্টি হলে প্রবল বেগে ঘূর্ণায়মান বায়ুর টানে জলভাগের জল টর্নেডোর কেন্দ্র বরাবর স্তম্ভাকারে ঘুরন্ত অবস্থায় ওপরে উত্থিত হয়। একে জলস্তম্ভ বলে।

শনিবার বিকালে ঘণ্টাখানেক থেকে পরে অন্ধকারে বিলীন হয়ে যায় এটি। স্থানীয়রা জানান, সৃষ্ট টর্নেড💜োতে হাকালুকির পানি জোয়ারের মতো টেনে আকাশে তুলে নেয়। আকাশ কালচে বর্ণ ধারণ করে বিজলꦯী চমকে গর্জন করতে থাকে।

প্রত্যক🍸্ষদর্শীরা জানান, অনেকটা ঘূর্ণি তুফানের মতো পানি শোষণ করে আকাশে তুলতে থাকে বাতাসে সৃষ্ট জল পিলার। জলের ওপরে প্রবল বেগে ঘূর্ণায়মান গতি তৈরি হয়।

আবহাওয়াবিদরা জানান, জলভাগের পানি শোষণ করে উপরে তুলে সৃ💙ষ্ট টর্নেডো শক্তি সঞ্চয় করতে পারেনি। যে কারণে সেটি ছেড়ে দেয়। নয়তো সেটি ধ্বংসাত্মক হতে পারতো। স্থলভাগের সংস্পর্শে আসলে সবকিছু গুঁড়িয়ে দিতো।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেটের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ চৌধুরী জানান, জলরাশিতে যেটাꦡ দেখা গেছে, সেটি মূলত টর্নেডো ছিল। এ ধরনের টর্নেডো অন্তত ১০-১২ কিলোমিটার বিস্তৃত হয়। সেটি হয়তো আরও বেশি বিস্তৃত হতে পারতো। এছাড়া যে লোক ভিডিওচিত্র ধারণ করেছে, সেও এটার ভয়াবহতা আঁচ করতে পারেনি। এর ঘূর্ণায়ন গতি বিস্তৃত হতে থাকলে নৌকাসহ তাকেও আকাশে তুলে উড়িয়ে নিতে পারতো। কয়েক বছর আগে নেত্রকোনা হাওরেও ১০-১২ কিলোমিটার জুড়ে এ রকম টর্নেডো সৃষ্ট🍒ি হয়েছিল। তবে শক্তি সঞ্চার ঘটাতে না পারায় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তেমনি হাকালুকি হাওরেও ঘূর্ণায়মান তীব্র গতিতে পানি আকাশে উঠেছিল। সেটি কোনও দিকে মুভ করলে প্রলয়ঙ্করী হতে পারতো।