গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী ভেলা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিলুপ্তপ্রায় এই ভেলা বাইচ দেখত🦋ে জমায়েত হয় কয়েক হাজার♔ নানান বয়সের মানুষের। সবাই উচ্ছ্বসিত ছিল ভেলা বাইচকে কেন্দ্র করে।
শুক্রবার (২২ জু🌠লাই) রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলীপুরে দক্ষীণ পাড়ায় এই ঐতিহ্যবাহি ভেলা বাইচের আয়োজন করা হয়।
প্রতিযোগীতায় বিভিন্ন গ্রাম থেকে ১৫টি ভেলা অংশ নেয়। প্রতিটি ভেলায় ২ জন করে চালক ছিলেন। কয়েকটি পর্বে বাছাই শেষ প্রতিযোগীতার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় 🌄স্থান অধিকারীকে বেছে নেওয়া হয়।
ভেলা বাইচ থেকে ܫআসা 🐽৮০ বছর বয়সী জাফর আহমেদ শেখ বলেন, “আজ থেকে ২৫/৩০ বছর আগেও আমরা এই ধরনের আয়োজন দেখেছি। কিন্তু এখন আর দেখা যায় না। অনেকদিন পর এই ভেলা বাইচ দেখে খুবই ভাল লাগতেছে। আমরা আনন্দিত “
বাচ্চা মেয়েকে নিয়ে ভেলা বাইচ দেখতে আসা ইউসুফ মন্ডল বলেন, “এখন খাল বিল কমে যাওয়ায় ন🎐ৌকা বাইচ বা ভেলা বাইচ দেখা যায় না। আমার বাড়ি পাশের গ্রামেই। মেয়েকে তাই ভেলা বাইচ দেখাতে নিয়ে আসলাম। এসে খুবই ভাল লাগছে। আশা করব প্রতি বছর এরকম আয়োজন হোক।”
সোহেল সেক নামের এক তরুণ বলেন, “দাদা-আব্বার কাছে ভেলা বাইচ, নৌকꦜা বাইচের গল্প শুনছি। কিন্তু কখনো দেখি নাই। আজ 🌼প্রথমবার দেখলাম। খুবই ভাল লাগতেছে এই ভেলা বাইচ দেখতে এসে। আশা করব ভবিষ্যতেও এধরনের আয়োজন হয় “
সোনিয়া আক্তার ��নামে স্কুল পড়ুয়া তরুণী জানান, বন্ধুদের সঙ্গে ভেলা বাইচ দেখতে এসেছেন। তিনিও কখনো ভেলা বাইচ বা নৌকা বাইচ দেখেন নাই। তিনি🍌 এবং তার বন্ধুরা এই ভেলা বাইচ প্রতিযোগীতা দেখতে পেরে আনন্দিত।
ভেলা বাইচ দেখতে আসা মুক্তার হোসেন নামের এক শিক্ষক জানান, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যগুলো আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান প♓্রজন্ম মোবাইল আর ইন্টারনেটে আসক্ত হয়ে পড়ছে। মুক্ত বিনোদনের সুযোগ তাদের কম। আবার সে সুযোগ༺ নিতেও চায় না অনেক সময়। এই ধরনের আয়োজন বাঙালির ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে। এমন আয়োজন মাঝে মাঝে হলে মনে করি বর্তমান প্রজন্ম মুক্ত এবং সুষ্ঠ ধারার বিনোদনের সুযোগ পাচ্ছে।
প্রতিযোগিতায় প্রথꦗম হয়েছেন ইউপির সাবেক মেম্বর আব্দুস সাত্তার, দ্বিতীয় হয়েছ🐻েন নুরুল ইসলাম এবং তৃতীয় হয়েছেন বাচ্চুর ভেলা।
প্রথম পুরষ্কার হিসাবে ১০০ কেজি ဣমিনিকেট চাল, দ্বিতীয় পুরষ্কার হিসাবে ৭৫ কেজি এবং তৃতীয় পুরষ্কার হিসাবে ৫০ কে🌄জি মিনিকেট চাল দেওয়া হয়।
আলীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহীন শেখের সভাপতিত্বে পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র আলমগীর শেখ তিতু। বিশেষ অতিথি ছিলেন আলীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু বক্কর ছিদ্দিক।