নড়াইলের লোহাগড়ার দিঘলিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুদের বাড়ি ও মন্দির পরিদর্শন করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, নড়াইল-১ আসনের এমপি কবীরুল হক মুক্তি, নড়াইল-🐈২ আসনের এমপি মাশরাফি বিন মুর্তজাসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।
বুধবার (২০ জুলাই) সকালে নেতারা ক্ষতিগ্র💟স্ত ব্যক্তিদের বাড়িঘরে যান, তাদের সঙ্গে কথা বলেন। দুপুরে দিঘলিয়া রাধাগোবিন্দ মন্দিরে স্থানীয় ধর্মীয় নেতা ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা 🍌করেন।
সংসদ সদস্য মাশরাফি বলেন, “এখানে আমাদের দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এসেছেন। আমার যা বলার তা আপনাদের সামনেই বলেছি। সিনিয়র নেতাদের সামনে শুধু এটুকুই বলতে চাই, যখন ঘটনা ঘটেছে হয়তো বা তাৎক্ষণিকভাবে আমরা উপস্থিত হতে পারিনি। তবে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে যা ঘটেছে তার সাক্ষী আপনারা। আপনাদের সামনেই হয়েছে, কিন্তু আইন আমরা হাতে তুলে নিত♔ে পারি না বলেই অনেক কিছু সে সময় করতে পারিনি।”
এখন মন্দের মধ্যে ভালো জিনিসটা খোঁজা ছাড়া পেছনে তাকিয়ে কোনো লাভ নেই উল্লেখ করে মাশরাফি আরও বলেন, “আপনারা দেখেছেন, ꦍআমাদের উপজেলার নেতারা এবং ছাত্রলীগের নেতারা সকলেই আপনাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আমরা আপনাদের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত আছি। ভিড💝িও ফুটেজ দেখে প্রশাসনের লোকেরা দায়ীদের চিহ্নিত করছে।”
এর বিচার হবেই আশা প্রকাশ করে সাবেক এই ক্রিকেটার আরও🌸 বলেন, “আপনারা স্বাভাবিকভাবে বসবাস করেন। মা-বোনরা যদি বাইরে থাকে তাদের আনুন, আমরা অবশ্যই আপনাদের সঙ্গে আছি।”
মাশরাফি বিন 🌌মুর্তজার বলেন, “আজকে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেটা হয়তো ঠিক করা যাবে। কিন্তু আমরা চাচ্ছি, আপনাদের যে মানসিক ক্ষতি হয়েছে সেটা আপনারা ফিরে পান। আপনাদের ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যাক। আপনারা স্বাভাবিকভাবে বাজার-সদাই করেন। এই শক্তি যোগাতেই সিনিয়র নেতারাসহ আমরা পাশে আছি।”
বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, “এই ভয়-আতঙ্ক দূর করতেই এদের সকলের পাশে আমাদের দাঁড়াতে হব🙈ে। এ জন্যই আমরা এসেছি। কারা আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায়, তাদের খুঁজে বের করতে হবে। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর আঘাত যারা করে তা🍌রা প্রকারান্তরে বাংলাদেশের ওপর আঘাত করে। এই শত্রুদের কোনো ক্ষমা নেই। তাদের অবশ্যই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। যারা লুটেরা তারা মানুষ নয়, তারা দেশের শত্রু।”