আ. লীগ ও যুবলীগ নেতার ওপর হামলা

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২২, ০৯:২১ পিএম

ফরিদপুরের মধুখালীতে আꦬওয়ামী লীগ এবং নওগাঁর মান্দায় যুবলীগ নেতার ওপ✅র হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৮ জুন) এবং বুধবার (২৯ জুন) রাত হামলার ঘটনা ঘটে।

ফরিদপুর

মধুখালীতে উপজেলা আওয়ামী লীগ🐷ের সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. হামিদুর রহমানের (৬৬) ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনের না🃏ম উল্লেখসহ আরও ২ থেকে ৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে স্থানীয় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন মহলে তীব্র ক্ষোভের পাশাপাশি নিন্দার ঝড় বইছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বিকালে ফ✅রিদপুরের মধুখালী থানা💎র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ওসি জানায়, মঙ্গলবার (২ꦆ৮ জুন) রাত ৯টার দিকে উপজেলা কমপ্লেক্সে সোনালী ব্যাংক শাখার সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই রাতেই অভিযুক্ꦓত তিনজনকে আটকের পর বুধবার সকালে আদালতে পাঠায়। ওইদিন বিকেলেই তারা জামিনে বেরিয়ে আসেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, মধুখালী পৌরসꦉভার পশ্চিম গাড়াখোলা বাসিন্দা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. হꦉামিদুর রহমান ওরফে হামিদকে মঙ্গলবার রাতে উপজেলা কমপ্লেক্সে সোনালী ব্যাংকের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক, বর্তমানে পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বাচ্চু শেখ (৪০), রবিউল ম্যোলা (৪৫) ও হাবিব শেখসহ (৩৫) কয়েকজন মিলে হামলা চালায়। এ সময় তার ওপর হামলা চালিয়ে মারধর ও গায়ের পাঞ্জাবী টেনে ছিঁড়ে ফেলে।

এ ব্যাপ♛ারে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, মধুখালী উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাই ও পৌর যুবলীগ নেতা মো. হামিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, “মধুখালী পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাচ্চুর হাতে অপমান, নির্যাতিত হতে হলো উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হামিদুর রহমানকে। যা খুবই দুঃখজনক। মেনে নেওয়া যায় না।”

নওগাঁ

মান্দায় ৬ নম্বর মৈনম ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন মিলনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তার প্রাইভেটকার ভাঙচুর করা হয়। বুধবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার মৈনম বা🍌জার মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সন্ধ্যায় মোয়াজ্জেম হোসেন মিলন বাদী হয়ে মান্দা থানায়♍ এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মৈনম ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন মিলন তার নিজস্ব প্রাইভেটকারযোগে মৈনম বাজারে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে পারিবারিক পূর্ব শত্রুতার জেরে মৈনম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইয়াছিন আলী রাজার ছেলে মো. আলামিন রানা তার ক্যাডার বাহিনীকে নিয়ে চাইনিজไ কুড়াল, রামদা, হাসুয়া, লোহার রডসহ মোটরসাইকেল নিয়ে প্রাইভেটকারের গতি রোধ করে। এ সময় তারা প্রাইভেটকারটি ভাঙচুর করে।

ভুক্তভ🌠োগী মোয়াজ্জেম হোসেন মিলন বলেন, “আমি ওষুধ কেনার জন্য মৈনম বাজারে যাই। সেখান থেকে ফেরার পথে কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই পথরোধ করে মৈনম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইয়াছিন আলী রাজার ছেলে মো. আলামিন রানা ও তার ক্যাডার বাহিনী। এ সময় তারা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গাড়ি থেকে নামতে বলে। আমি গাড়ি থেকে নামতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমার গাড়িটি ভাঙচুর করে।”

মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর রহমান জানান, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মান্দা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।