শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা : জাকারিয়া পিন্টু কারাগারে

পাবনা প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২২, ০৪:৫৭ পিএম

পাবনার ঈশ্বরদীতে তৎকালীন আওয়ামী লীগের বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 🍰ট্রেনবহরে হামলা ও গুলিবর্ষণ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি জাকারিয়া পিন্টুকে আদালতের মাধ্যমে পাবনা কারাগারে পাঠিয়েছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

সোমবার (২৭ জুন) দুপুরে আদালতেরꦺ সিদ্ধান্তে তাকে পাবনা কারাগারে পাঠানো হয়।

গত শনিবার কক্সবাজার জেলার টেকনাফ এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাকারিয়া পিন্টুকে (৫০) গ্রেপ্তার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন🐬 ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-২। পরের দিন রোববার তাকে ঈশ্বরদী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে বিশেষ নিরাপত্তাজনিত কারণে তাকে রাতেই জেলা গোয়♚েন্দা (ডিবি) পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়।

পিন্টু ঈশ্বরদীর পিয়ারখালী কাঁচাপরীপাড়া মহল্𝕴লার মৃত আব্দুস ছামাদের ছেলে। তিনি পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, “২০১৯🍷 সালের ৩ জুলাই ঈশ্বরদী বিএনপির ৯ শীর্ষ নেতার মৃꦿত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ের দিন থেকেই পলাতক ছিলেন পিন্টু। 

এই মামলা ছাড়াও ভেড়ামারা থানায় অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি জাকারিয়া পিন্টু। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরও ২৪টি মামলা আছে। এর মধ্যে ৮টি মামলার ওয়া🙈রেন্টভুক্ত পলাতক আসামি তিনি।

১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনযোগে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন তৎকালীন𒁃 বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পথে সভা করার কথা থাকলেও বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ তার নেতৃত্বে মামলার অন্য আসামিরা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঈশ্বরদী স্টেশন এলাকায় ট্রেনে গুলি ও বোমাবর্ষণ করেন।

এ ঘটনায় ঈশ্বরদী জিআরপি থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওইদিনই একটি মামলা করেন। পরে মামলাটির তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল ৫২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। এꦿদের মধ্যে পাঁচজন মারা গেলে তাদের চার্জশিট থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

২০𓆉১৯ সালে ৩ জুলাই জাকারিয়া পিন্টুসহ ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। সেই সঙ্গে ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদ🍎ণ্ড ও ১৩ জনকে ১০ বছর মেয়াদ কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়।