বন্যার পানিতে রেলসেতু ভেঙে সারা দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলা। জেলার বারহাট্টা রেলস্টেশনের মাস্টার গোলাম র💞াব্বানি শনিবার (১৮ জুন) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গোলাম রাব্বানি বলেন, শুক্রবার (১৮ জুন) রাতের কোনো এক সময় মোহনগঞ্জ উপজেলার মোহনগঞ্জ ও অতীতপুর রেলস্টেশনের মাঝামাঝি ২৩ নম্বর♊ রেলসেতু ভেঙে যায়।
সেতু ভেঙে যাওয়ায় মোহনগঞ্জ সারা দেশের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে ℱজানিয়েছেন ꦏতিনি।
ওই স্টেশনমাস্টার আরও বলেন, “আন্তনগর ট্রেন হাওর এক্সপ্রেস মোহনগঞ্জে আটকা রয়েছꦛে। ট্রেনটি ঢাকার দিকে ছেড়ে যেতে পারেনি।”
মোহনগঞ্জ জিআরপি ফাঁড়ির ইনচার্জ স্টেশনের শফিকুল ইসলাম জানান, হাওড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি মোহনগঞ্জে আটকা পড়েছে। পরবর্তী নির্♑দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মোহনগঞ্জের সঙ্গে ময়মনসিংহসহ ঢাকার রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকবে বলে রেল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেতুর নিচে পানির প্রবল স্রোত থাকায় জরুরি ভিত্তিতে কাজ করা সম্ভব নয়।
কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও উজওান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ, কলমাকান্꧑দা, দুর্গাপুর ও বারহাট্টা উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
সীমান্তবর্তী উপজেলা কলমাকান্দ🐈া ও দুর্গাপুরে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বেশি। পানি বৃদ্ধির কারণে অসংখ্য রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে পানিতཧে তলিয়ে ভেসে গেছে তিন সহস্রাধিক পুকুর ও ঘেরের মাছ।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার কংস, মোমেশ্বরী, ধনু, উব্দাখালিসহ ছ🅘োট-বড় সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এদিকে চলমান ভয়াবহ বন্যার পানি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে প্রবেশ করায় পুরো সিলেট অন্ধকারে নিমজ্জিত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে কুমারগাঁও ও বরইকান্দিতে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে পানি প্রবেশ করেছে। কুমারগাঁওয়ে জাতীয় গ্রিডের উপ-কেন্দ্রের মাধ্যমে পুরো সিলেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। আর ৫/৬ ইঞ্চি পানি বাড়লে কুমারগাঁও কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরে🍷শনের (সিসিক) মেয়র।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও প্রবল বর্ষণে𝓰 যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, দশানী, জিঞ্জিরাম নদ-নদীর পানি বেড়েছে। ফলে জামালপুরের বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ওই দুই উপজেলায় কিছু সড়ক ভেঙে যাওয়ায় জনদুর্ভোগ চরমে।
সুনাꩵমগঞ্জের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা সুনামগঞ্জ শহরের। এখানে অফিস-আদালত, বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ পুরো শহর বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
বন্যায় সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের গোবিন্দগঞ্জ-দিঘলী এলাকা প্লাবিত হয়ে সারা দেশের সঙ্গে সুনামগঞ্জের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে আন্তজেলা যোগাযোগব্যবস্থাও।