সালিশে প্রতিপক্ষের হামলায় একজন নিহত

ফেনী প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২২, ০৫:৫০ পিএম

ফেনীর দাগনভূঁঞায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে সালিশ বৈঠকে প্রতিপক্ষের হামলায় শাহজালালাল ফারুক (৪০) নামেꦰ একজন নিহত হয়েছেন। মৃত ফারুক উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের দক্ষিণ খুশীপুর গ্রামের আবুদুল হাকিমের ছেলে।

শনিবার বেলা ♌১১টার দিকে এ হামলার ঘটনাটি ঘটে। এ সময় নিহত ফারুকের বাবা আবদুল হাকিম (৬৫) ও ভাই আবদুল হালিম (৩৫) আহত হয়েছেন। নিহত  শাহজালালাল ফারুকের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার সকালে ফেনীর দাগনভূঁঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের দক্ষিণ খুশীপুর গ্রামের মির্জা বাড়িতে তাদের চাচা, জেঠা ও চাচাতো-জেঠাতো ভাইদের ৬ পক্ষের পারিবারিক জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এক সালিশ বৈঠক বসে। এতে বিরোধীয় পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও গ্রামের গণ্যমান্য সালিশদাররা উপস্থিত ছিলেন। সালিশের এক পর্যায়ে আবদুল হাকিম (৬৫) নামে একজন কথা বলার সময় সাহাবুদ্দিন নামে প্রতিপক্ষের একজন বাধা দেন। এ নিয়ে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে সাহাবুদ্দিন তার জেঠা সম্পর্কীয় বৃদ্ধ আবদুল হাকিমের ওপর হামলা ও কিলঘুষি মারতে শুরু করেন। এ সময় সালিশে উপস্থিত থাকা আবদুল হাকিমের ছেলে শাহজালাল ফারুক প্রতিবাদ করে এগিয়ে যায় এবং সেও সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে লিপ্ত হয়। তখন সাহাবুদ্দিনের পক্ষের লোকজন এক জোট হয়ে আবদুল হাকিম ও তার ছেলে শাহজালাল ফারুককে মারধর করে। খবর পেয়ে ফারুকের ছোট ভাই আবদুল হালিম তাদের নতুন বাড়ি থেকে সেখানে গেলে তাকেও পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। আবদুল হালিমকে দ্রুত দাগনভূঁঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়। হামলা ও মারামারির ঘটনায় সালিশি বৈঠক পণ্ড হয়ে যায়। আহত শাহজালাল ও তার বাবা আবদুল হাকিমকে অন্যরা সেখান থেকে তদের নতুন বাড়িতে নিয়ে যায়। বেলা ১২টার দিকে বাড়িতে নেওয়ার সঙ্গ🏅ে সঙ্গে শাহজালাল ফারুক অসুস্থতা বোধ করে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তাকে দ্রুত ফেনী জেনার🦩েল হাসপাতালে নেওয়া হলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. ইকবাল হোসেন ভূঁঞা জানান, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পৌ🥂ঁছানোর আগেই রোগী পথে মারা গেছেন।

দাগনভূঁঞা থানার 𝔉ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান ইমাম পারিবারিক জমিজমা নিয়ে সালিশ বৈঠকে উভয় পক্ষ💖ের মধ্যে সংঘর্ষে ঘটনায় একজন মারা যাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মামলার প্রস্তুতি চলছে। কাউকে আটক করা হয়নি।