সুনামগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২২, ০৮:৫০ পিএম

সুনামগঞ্জে পৃথক 💎ধর্ষণ মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানꦿা করেছেন আদালত।

বুধবার (৮ জুন) দুপুর ১২টার দিকে সুনামগঞ্জের নারী ও🥃 শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জাকির হোস꧑েন এ রায় দেন।

একই মামলায় অপহরণের দায়ে আদালত আসামিদের প্রত্যেককে ১৪♎ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং আরও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন✤।

যাবজ্জীবন ꦉদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার লালপুর গ্রামের মফিকুল ইসলামের ছেলে মন🌠ির মিয়া, একই গ্রামের আব্দুল হাসিমের ছেলে রুবেল মিয়া, আব্দুস ছালামের ছেলে শামীম মিয়া ও ছাতক উপজেলার দিঘলী চানপুর গ্রামের তাজ উদ্দিনের ছেলে রাজন মিয়া।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের🐽 ২০ এপ্রিল ভিকটিম কিশোরী শিল্পী সুনামগঞ্জ শহরের মল্লিকপুর থ꧟েকে গানের অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে  কুতুবপুর পয়েন্টে পৌঁছালে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। তখন ভিকটিম ও তার ওস্তাদ ওই পয়েন্টের আম্বরের চায়ের স্টলে আশ্রয় নেন।

এ সময় মনির, রুবেল ও শামীম ম🎶িয়া একটি মাইক্রোবাস নিয়ে সেখানে গিয়ে ওই কিশোরীর ওস্তাদকে মারপিট করে। এরপর কিশোরীকে জোরপূর্বক তুলে মাইক্রোবাসেই পালা𝔉ক্রমে ধর্ষণ করেন তিনজন।

এরপর পথিমধ্যে তাকে আরও দুইবার ধর্ষণের পর লালপুর বাজারে রাস্তায় ছেড়ে দেন। পরꦑে কিশোরীর বাবা-মা তাকে 🀅উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ঘটনার পরদিন ওই কিশোরীর বাবা বাদী💞 হয়ে মনির মিয়া, রুবেল মিয়া, শামীম মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন।

তদন্ত শেষে♊ পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। শুনানি শেষে সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তওিতে আদালত মনির মিয়া, রুবেল মিয়া ও শামীম মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা এবং অপহরণের দায়ে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানার এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে ভিকটিমকে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে জরিমানার ২০ হাজার টাকা অনাদায়ে অরও ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন বিচারক।

অপরদিকে, জেলার ছাতক উপজেলার দিঘলী চানপুর গ্রামে তাজ উদ্দিনের ছেলে রাজন মিয়া গ্রামের এক মাদ্রাসাছাত🥃্রীকে যাওয়া-আসার পথে প্রায়ই কুপ্রস্তাব দিতেন। এ কারণে ছাত্রী মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ করে দেয়।

পরে ২০১৭ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই🎉 ছাত্রী প্রস্রাব করতে  ঘর থেকে বের হয়। এ সময় ওত পেতে থাকা রাজন ছাত্রীকে মুখ বেঁধে অপহরণ করেন। পরে তাকে বাড়ির পাশে তকিপুর মাইজুলের খালি বাড়ি🐲তে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী বাড়ি ফিরে তার বাবা-মাকে বিষয়টি জানালে বাবা-মা তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

চিকিৎসা শেষে রাজন মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন তার পরিবার। তদন্ত শেষে🍌 পুলিশ আসামি রাজন মিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর সা🔯ক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আসামি রাজন মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেন।

একই মামলায় রাজনকে অপহরণের দায়ে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন। জরিমানার এক লাখ টাকা ক্ষতিপূ😼রণ হিসেবে ভিকটিমকে দেওয়া হবে।